Protest Rally For DA: 'কেন্দ্রের হারে কবে মিলবে ডিএ'? রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
ডিএ-র দাবিতে বিধানসভা অভিযান। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের যৌথ মঞ্চের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। ধর্মতলা থেকে মিছিল যাচ্ছে বিধানসভার দিকে।
কলকাতা : ডিএ-র (DA) দাবিতে বিধানসভা অভিযান। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Government Employees) সংগঠনের যৌথ মঞ্চের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। ধর্মতলা (Esplanade) থেকে মিছিল যাচ্ছে বিধানসভার দিকে। বিধানসভার সামনে পুলিশি ধরপাকড় চলে। পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার ১৪৪ ধারা এলাকায় মিছিল পৌঁছতেই শুরু হয় ঝামেলা। পুলিশ এবং কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে। অভিযোগ, টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের।
বাড়ছে ডিএ ফারাক
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী যে ৩৪ শতাংশ DA-র ফারাক ছিল, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় গত ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত।
বারবার ধাক্কা, এবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, বকেয়া DA নিয়ে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মানেনি, এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আদালতকে হলফনামা দিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২০০৯ সালের রোপা অনুযায়ী, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত DA দেওয়া রাজ্য সরকারের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরেই শুধু নয়, অতিরিক্ত DA দিতে গেলে রাজ্যের অর্থনীতিতে বিপর্যয়মূলক প্রভাব পড়বে। এই প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের বাড়তি DA দিতে গেলে, রাজ্যের আর্থিক কর্মকাণ্ডের ওপর অপ্রত্যাশিত প্রভাব পড়বে এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এর সঙ্গে রাজ্য সরকার যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।
যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা যথেষ্ট বেতন পান : শোভনদেব
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘যে সব জনহিতকর প্রকল্প রাজ্যে চালু আছে তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা যথেষ্ট বেতন পান। কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের উন্নয়নে প্রচুর প্রকল্প চলছে। গরিবদের জন্য মমতা কাজ করছেন বলেই রাজ্যের অর্থে টান পড়ছে। যে রোজ খেতে পায় না, তাঁর কথা ভাবতে হবে। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা আগে ভাবতে হবে', বলে মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- আধার কার্ডে নাম না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না? কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী