Sarada Scam: কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার ফাইল 'উধাও' হওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ সুদীপ্ত সেনকে, তথ্য মিলেছে বলল পুলিশ
Sudipta Sen Questioned: কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার ফাইল 'উধাও' হওয়ার ঘটনায় জেরার মুখে সুদীপ্ত সেন। এবার প্রেসিডেন্সি জেলে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পাঁচ সদস্য।
হিন্দোল দে, কলকাতা: কাঁথি পুরসভা (Contai Municipality) থেকে সারদার ফাইল 'উধাও' হওয়ার ঘটনায় জেরার মুখে সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen)। এবার প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) এসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলা পুলিশের (district police) পাঁচ সদস্য। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে চলল জেরা।
কেন প্রশ্ন?
সময়টা ২০১১-১২। কাঁথি পুরসভা এলাকায় বেশ কিছু নির্মাণ করেছিলেন সুদীপ্ত। কিন্তু প্রকল্পগুলিতে বেশ কিছু বেনিয়ম হয় বলে অভিযোগ। শোনা যায়, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী যখন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সময় কাঁথি পুর-এলাকায় ওই নির্মাণকাজের অনুমতি পেতে মোটা অঙ্কের টাকা দেন সুদীপ্ত সেন। কী রকম? অভিযোগ, চার তলা নির্মাণের অনুমতি পেয়েও উনিশ তলা নির্মাণ করেছিলেন সারদা-কর্তা। এবং গোটাটাই হয়েছিল মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে, অন্তত তেমনই শোনা যায়। কিন্তু কাকে টাকা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত? কত টাকা? হালে ওই বিতর্কিত নির্মাণ-সংক্রান্ত বেশ কিছু ফাইল কাঁথি পুরসভা থেকে চুরি যায়। বিষয়টি নিয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ থানান পুরসভার চেয়ারম্যান। তার পরই সারদা-কর্তাকে জেরা করতে আসেন কাঁথি থানার আইসি-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পাঁচ সদস্যের একটি টিম।
কী হয়েছে?
বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছন পাঁচ পুলিশ আধিকারিক। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে চলল জেরা। কী বলেছেন সারদা-কর্তা, আদৌ কিছু বলেছেন কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে জেরা পর্ব মিটলে কাঁথি থানার আইসি জানান, সুদীপ্ত সেন তাঁদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারীদের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ওই সময়ে কাঁথির অনেককেই মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছিলেন তিনি। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল সেটা বলেনি পুলিশ। তদন্তকারীদের আশ্বাস, আগামী দু থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে পারবেন তাঁরা। কিনারা হবে ফাইল চুরিরও। প্রসঙ্গত, গত জুনেই বিধাননগর এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে এসে সারদাকর্তা বলেছিলেন, 'টাকা দিয়েছিলাম শুভেন্দু অধিকারীকে। চিঠি দিয়ে আদালতকে বিস্তারিত জানিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে কাঁথিতে গিয়েছিলাম। জমি এবং প্ল্যান স্যাংশনের বিষয় নিয়ে গিয়েছিলাম।' সুদীপ্ত সেনের ওই মন্তব্যের পর তৃণমূলের তরফে আক্রমণ শানানো হয়। সাংবাদিক বৈঠকে করে এই দাবির ভিত্তিতে তদন্ত চান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও তাপস রায়। শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারেরও দাবি করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:পার্থ-অর্পিতার ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার হদিশ, খবর ইডি সূত্রে