TMC: পরীক্ষা না দিয়েই কলেজে চাকরি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী-র, নথি দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের
Kunal Ghosh:কুণালের আরও দাবি, 'শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।'
কলকাতা: চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে সুজনের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ শানাল তৃণমূল। প্রথমে সুজনের বিরুদ্ধে চাকরির তদ্বির করার অভিযোগ। তারপর সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়েও তোপ তৃণমূলের।
সকাল ১১টা ৪২ মিনিটে কুণালের ট্যুইটে দিলীপ, শুভেন্দু, সুজনকে নিশানা করা হয়। তারপরেই বেলা ১২টা ৫ মিনিটে পার্থ হুঁশিয়ারি দেন, 'তদ্বির করেছিলেন দিলীপ, শুভেন্দু, সুজন।' তারপরে দুপুর ৩টা ১০মিনিটে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে ট্যুইট তৃণমূলের। এদিন সিপিএম নেতার স্ত্রীর চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে আক্রমণে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। ট্যুইটে অভিযোগ করা হয়েছে, পরীক্ষা না দিয়েই দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি হয়েছে। পরীক্ষা না দিয়েই ৩৪ বছর চাকরি হয়েছে, সিপিএমের সীমাহীন ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ। সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটারের ছবি দিয়ে ট্যুইট তৃণমূলের। তারপরে সাংবাদিক বৈঠকে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার চিঠি, তাঁকে নেওয়ার জন্য বোর্ডের রেজোলিউশন, সব দেখান কুণাল ঘোষ। নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করেন কুণাল। তাঁর তোপ, 'যাঁরা কাজ ছুড়ছে তারা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছে। গোটা নথি শিক্ষামন্ত্রী মাননীয় ব্রাত্য বসুকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের দাবি করা হয়েছে। সিপিএমের পদাধিকারীদের কোন আত্মীয় কোথায় চাকরি করেন তাঁরা আগে সেটা বলুন।'
কুণালের দাবি:
কুণালের আরও দাবি, 'শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সমস্ত বিষয় আমরা তদন্তের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। অয়নের বিরুদ্ধে তদন্ত ২০০২ থেকে শুরু হওয়া উচিত। এই জমানায় অন্যায় করলে, শাস্তি হোক, কিন্তু কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়বেন না। সিবিআই-ইডির তদন্তে বাম জমানাকেও যুক্ত করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তদন্তের জন্য অনুরোধ করব। কোথাও অন্যায় হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।' ক্ষমতা থাকলে প্রমাণ করুক, তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ সুজন চক্রবর্তীর
কী বলেন পার্থ:
এদিন আদালতের সামনে সংবাদমাধ্য়মের কাছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন পার্থ। তিনি বলেন, 'যে সুজন, দিলীপ-শুভেন্দুরা বড় বড় কথা বলছেন তাঁরা দেখুন উত্তরবঙ্গে কী করছেন। CAG রিপোট পড়ুন। আমি বলেছিলাম আমি করতে পারব না। আমার কাছে এসেছিল সেখানেই আমি বলেছিলাম আমি নিয়োগ-কর্তা নই। আমি পারব না।'
আরও পড়ুন: 'ভেবেছিলাম, কিছুই বলব না...আবার বলা শুরু করলাম', কী বললেন পার্থ?