Sukanta at NIT: NIT-তে পড়ুয়াদের প্রশ্ন শুনে চটলেন সুকান্ত, একদিনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলেন ছাত্রকে
Sukanta Majumdar: র্গাপুর NIT-তে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত।

দুর্গাপুর: দুর্গাপুর NIT-তে এক ছাত্রের প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন এক পড়ুয়া। আর তাতেই মেজাজ হারালেন সুকান্ত। ওই পড়ুয়ার কাছেই পাল্টা সমাধান জানতে চাইলেন তিনি। বললেন, "আপনি সমাধান দিন। আপার জন্য আমার চেয়ার ছেড়ে দেব।" NIT-র ডিরেক্টর ওই পড়ুয়ার হাত থেকে মাইক কেড়ে নেন বলে অভিযোগ।
দুর্গাপুর NIT-তে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানে রাজস্থান থেকে আসা, আয়ুষ নামের এক পড়ুয়া কিছু প্রশ্ন করেন তাঁকে। ওই পড়ুয়া বলেন, "দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আত্মনির্ভরতা কী করে তৈরি হবে?" এতে সুকান্ত বলেন, "একজন মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন করছেন আপনি। এর চেয়ে বড় মৌলিক অধিকার আর কী হতে পারে? চিনে এসব বলা যায়?"
ওই পড়ুয়া যদিও থামেননি। তিনি বলেন, "নিজেদের অধিকারের জন্য দেশের মানুষকে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। স্কুলের বসার জায়গা নেই পড়ুয়াদের!" এই প্রশ্নের পরই দর্শকাসন থেকে হাততালি শোনা যায়। কিন্তু সুকান্ত বলেন, "না, না সমাধান বলুন। বামপন্থী হতে যাবেন না। বামপন্থীরা শুধু সমস্যা তৈরি করে, আর সমস্যাই তুলে ধরে। আপনি বলুন সমাধান কী? আপনি বলুন, আমি আমার চেয়ার ছেড়ে দিচ্ছি।"
আয়ুষ বলার চেষ্টা করেন, "আপনাকে সমস্যার কথা বলছি স্যর।" কিন্তু সুকান্তকে বলতে শোনা যায়, "সমাধান কী বলুন? কী করতে হবে বলুন। তোমাকে প্রধানমন্ত্রী করলে করে দেবে? বলো, করে দেব। এক দিনের জন্য করে দেব। সমস্যা দেখিও না। সমাধান বলো। কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের কাছে সমাধান থাকা উচিত।"
এর পর আর এক পড়ুয়া বলতে ওঠেন। তিনি সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এতে সুকান্ত বলেন, "আত্মনির্ভর ভারতের কথা আলোচনা করছি আমরা। এখানে সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলছি না। তার জন্য আলাদা মঞ্চ আছে।" যে ছাত্রকে তিরস্কার করেন সুকান্ত তাঁর বক্তব্য, "আমি মৌলিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তর তো দিলেন না, কথা শুনলেন না, সমাধান চাইছিলেন। স্কুলে বসার জায়গা নেই বললাম তো রেগে গেলেন, কথা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। অন্য কথা বলছিলেন।"
NIT-তে পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখে পড়ে সুকান্ত বলেন, "আমি যে প্রশ্ন করলাম, উত্তর দিতে পারল না। মৌলিক অধিকার কোথায় খর্ব হয়েছে জানতে চাইলাম, বলতে পারল না। জিজ্ঞেস করলাম, তুমি দেশের জন্য কী করেছো? সে তো বলতে পারছে না! একটা কাজ তো থাকতে হবে! আমি কী করেছি দেশের জন্য! গায়ের জামা গরিব মানুষকে দিয়েছি! রক্তদান করেছি! গরিব মানুষকে খাইয়েছি! তবে তো প্রশ্ন তুলতে পারব! কেউ বানিয়ে পাঠিয়েছিল হয়ত। মদত থাকতেই পারে।"
যদিও পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, "কারও কথাই শোনেন না। ছাত্ররা শিক্ষিত। NIT-ৎ মতো জায়গায় এসে যদি তাঁদের সুকান্তবাবু গল্প শোনাতে চান, তারা শুনবে কেন। এটা বিজেপি-র ট্র্যাডিশন। নরেন্দ্র মোদিও দীর্ঘদিন মুখ খুলতেন না।"






















