Sukanta Majumdar:'কাকে আড়াল করতে চাইছেন? ভাইপো?', জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারির পর ট্যুইট সুকান্তর
Jibankrishna Saha:সিবিআইয়ের হাতে তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারির পর ট্যুইটারে সরব রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রশ্ন তুললেন, 'তিনি কাকে আড়াল করতে চাইছেন? ভাইপো?'
কলকাতা: সিবিআইয়ের হাতে তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারির পর ট্যুইটারে সরব রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রশ্ন তুললেন, 'তিনি কাকে আড়াল করতে চাইছেন? ভাইপো?'
ট্যুইটে কী লিখলেন সুকান্ত?
রাজ্য বিজেপি সভাপতির ট্যুইটারে লেখেন, 'তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তিনি SSC-র মেধাবী চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছুড়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। কাকে আড়াল করতে চাইছেন তিনি? ভাইপো?'
কী ভাবে তৃণমূল বিধায়ক?
৬৫ ঘণ্টার টানটান নাটক, পুকুরে মোবাইল ফেলা, জঙ্গলে তল্লাশি, পুকুরের জল তুলে খোঁজাখুঁজির পর CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে গ্রেফতারির আগে গত আড়াই দিন ধরে, এরকম নানা ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের আন্দি। ধৃত জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে গরু পাচারেরও যোগ পাওয়া গেছে। রয়েছে বীরভূম যোগ, দাবি সূত্রের। বীরভূমের ইলামবাজার থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা হয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার হত। অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন জীবনকৃষ্ণ। কেষ্টর হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। অনুব্রতর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে গরুপাচারে জীবনকৃষ্ণের ভূমিকা কী ছিল, খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, ৬৫ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে যে ৩ হাজার পাতা নথি পাওয়া গেছে, সেখানে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বীরভূমের চাকরিপ্রার্থীদেরও নাম রয়েছে। একই সঙ্গে বড়ঞা দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রোটেকশন দেওয়া ও সাহায্য করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে জীবনকৃষ্ণ সাহা এই কাজ করতেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে শুরু হয় তোড়জোড়। ২টি গাড়ি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআইয়ের এসপি ও ডিএসপি পদমর্যাদার ২ অফিসার। রাত ২টো ৩৫ মিনিটে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ বিধায়ককে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। হুগলির ত্রিবেণী, ডানকুনি, সাঁতরাগাছি হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে, সকাল ১০টা ৩৬-এ বিধায়ককে নিয়ে কলকাতার নিজাম প্যালেসে ঢোকে সিবিআইয়ের গাড়ি।
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতিতে জালে তৃণমূলের জীবন, চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী