Sukanya Mondal: গরুপাচার মামলায় জামিন অনুব্রত-কন্যার, ED-র দায়ের করা মামলায়
Cattle Smuggling Case: ওই একই মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত।
কলকাতা: গরুপাচার মামলায় এবার জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। দিল্লি হাইকোর্টে জামিন পেলেন সুকন্যা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন তিনি। ওই একই মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল ED-র হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। (Sukanya Mondal) সুকন্যার বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. (Sukanya Mondal)
জামিনের আবেদন জানিয়ে আগেই দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সুকন্যা। সেই নিয়ে নির্দেশ আসেনি এখনও পর্যন্ত। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে সুকন্যার জামিনের সেই আবেদনের শুনানি চলছিল। আর সেখানেই সুকন্যার জামিনের আর্জি গৃহীত হয়েছে। এই মুহূর্তে তিহাড় জেলেই বন্দি রয়েছেন সুকন্যা। সম্ভবত আগামী কাল জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন তিনি। (Cattle Smuggling Case)
গরুপাচার মামলায়, অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে CBI এবং ED. দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাই গ্রেফতার করে তাঁকে। ফলে তিহাড় থেকে বেরোতে হলে দু'টি মামলাতেই জামিন পেতে হবে তাঁকে। চলতি মাসের শেষ দিকেই অনুব্রতর জামিনের আর্জি নিয়ে শুনানি রয়েছে। তবে সুকন্যার জামিন নিয়ে আদালতে সওয়াল-জবাব আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এতদিন নির্দেশ আসেনি, যা আজ সম্পূর্ণ হল। অর্ডারের কপি হাতে পেলেই, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ ছেড়ে দেবেন সুকন্যাকে।
এই গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই CBI-এর দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন অনুব্রত। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু ED-র দায়ের করা মামলায় এখনও জামিন পাননি তিনি। এ মাসের শেষ দিকে সেই মামলায় তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে। সেখানে অনুব্রতকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।
গত দু'বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় বীরভূমের বাড়ি থেকে ২০২২ সালের ২২ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে CBI. এরপর এই একই মামলায়, ওই বছরেরই ১৬ নভেম্বর, তাঁকে গ্রেফতার দেখায় ED-ও। এর পর, গত বছর ২৬ এপ্রিল সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে বাবার সঙ্গে তিহাড়ে ঠাঁই হয় সুকন্যারও। এই গোটা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও আগাগোড়াই অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেও অনুব্রতর সমর্থনে মুখ খুলেছেন তিনি। "কেষ্টকে জেলে ভরে রাখলেও, মানুষের মন থেকে ওকে সরাতে পারেনি" বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।