Abhishek Vs Suvendu: গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, একই দিনে কৃষি ভবনে শুভেন্দু অধিকারী
Krishi Bhawan:সন্ধেয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক আগেই কৃষি ভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, অনির্বাণ বিশ্বাস ও বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: সন্ধেয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Abhishek Banerjee)। তার ঠিক আগেই কৃষি ভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর, বাংলার দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতেই দিল্লিতে কৃষি ভবনে (Krishi Bhawan) গিয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনকে স্মারকলিপি দেওয়ারও কথা তাঁর। পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শাহকে জানাতে পারেন শুভেন্দু। ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে এদিন প্রথমে যন্তরমন্তরে অবস্থান করে তৃণমূল (TMC Dharna)। এবার বৈঠক।
যা জানা গেল...
সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুরু করার কথা ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভুক্তভোগী জব কার্ড হোল্ডারদের চিঠি নিয়ে কৃষি ভবনে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও বৈঠক চলছে। তবে আজই কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাঁর কৃষি ভবনে ঢোকার ঘণ্টা দুয়েক আগেই ঢুকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র না ছাড়লে তিনি যে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না, সে কথা আজ ফের যন্তরমন্তরের ধর্না মঞ্চ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আপাতত এই 'বকেয়া' বনাম 'দুর্নীতি'র সংঘাত নিয়েই বঙ্গ রাজনীতির এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে রাজধানী!
শুভেন্দুর অভিযোগ...
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, '৫ হাজার কোটির কাটমানি নয়ছয় হয়েছে।' সে নিয়ে পাল্টা সিবিআই তদন্তের দাবিও করেন শুভেন্দু অধিকারী। এতেই শেষ নয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি আজই কৃষি ভবনে যান। অন্য দিকে, অভিষেক বলেন, 'তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বেতন থেকে জব কার্ড হোল্ডারদের টাকার ব্যবস্থা করা হবে।' জানিয়ে দেন, ২ মাসে আড়াই হাজার জব কার্ড হোল্ডারকে টাকা দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্র বকেয়া না মেটালে এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি অভিযানের ডাক দেন তিনি। অর্থাৎ এক দিকে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঘোষণা, অন্য দিকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস। দু'রকম বার্তাই শোনা যায় এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের মুখে। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপিও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর যেমন বলেন, 'দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সাংসদের নেতৃত্বেই দিল্লি অভিযান!' রাজধানীতে যখন তৃণমূলের ধর্না ও অভিযান ঘিরে এত আলোড়ন, তখন কলকাতার ধর্মতলায় হকের দাবিতে দণ্ডি কেটে প্রতিবাদ করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আন্দোলনের ৯০০ দিন পেরিয়ে গেল। কিন্তু কোথায় কী? সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা, ছড়িয়ে কলকাতা থেকে দিল্লিতে।
আরও পড়ুন:জলের তলায় চাষের জমি, বন্যা পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন বিজেপি বিধায়ক