Suvendu Adhikari: 'RG Kar-এর দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি রাজ্য পুলিশ', মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি শুভেন্দুর
South 24 Paragana News: ৯ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে অগ্নিগর্ভ জয়নগরের মহিষমারি এলাকা।
কলকাতা : 'আর জি করের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি রাজ্য পুলিশ। পুলিশের কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই শিশুটিকে প্রাণ দিতে হল।' জয়নগরকাণ্ডে ঠিক এই ভাষাতেই সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা-
৯ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে অগ্নিগর্ভ জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী গতকাল টিউশন থেকে না ফেরায়, সন্ধেয় জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে যায় পরিবার। অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টিতে গুরুত্বই দেয়নি। রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে জলাজমিতে মেলে ৯ বছরের বালিকার দেহ। তখন টনক নড়ে পুলিশের। ক্ষুব্ধ জনতার দাবি, পুলিশ সেই সময় তৎপর হলে প্রাণে বেঁচে যেত নাবালিকা।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ বারাসাত থেকে মহিষমারি যাওয়ার রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে ধাওয়া করে ঝাঁটাপেটা করেন মহিলারা। মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ফাঁড়ির বাইরে মোটরবাইক, সাইকেলে আগুন, প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। ফিরে যেতে হয় র্যাফকে। বারুইপুরের SDPO অতীশ বিশ্বাসকে লাঠি হাতে তাড়া করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। উত্তেজিত জনতার দিকে বন্দুক তাক করতে দেখা যায় এক পুলিশকর্মীকে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। হামলার মুখে পড়ে পুলিশও ইট ছোড়ে।
এই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখলেন, "দেখে মনে হচ্ছে, আরজি করের পিজিটি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা থেকেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কিছু শেখেনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের ৮ বছরের ওই ছাত্রী গতকাল দুপুরে টিউশনের পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা কিছু প্রতিবেশীকে নিয়ে ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের কাছে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়েছিলেন। তাতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার পরিবর্তে, কোনও আগ্রহ দেখাননি পুলিশকর্মীরা। নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই তল্লাশি শুরু করেন। মহিষমারির একটি পুকুরে শিশুর দেহ উদ্ধার হয় ভোরের দিকে। যদি পুলিশ সক্রিয় হত, তাহলে শিশুটিকে বাঁচানো যেত। কিন্তু, শিশুটিকে তার জীবন দিতে হল, কারণ পুলিশ তাদের কর্তব্য পালন করতে ইচ্ছুক ছিল না।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।