Suvendu In High Court:নেতাই 'গণহত্যায়' নিহতদের স্মরণসভায় যোগ দিতে চান শুভেন্দু, 'হয়রানি' এড়াতে দ্বারস্থ হাইকোর্টের
District:ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। নেতাই গণহত্যায় মৃতদের স্মরণসভায় যোগ দেবেন শুভেন্দু। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হয়রানি করেছিল পুলিশ, অভিযোগ তাঁর।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari In Calcutta High Court)। নেতাই গণহত্যায় মৃতদের স্মরণসভায় যোগ দেবেন শুভেন্দু। গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হয়রানি করেছিল পুলিশ, অভিযোগ তাঁর। এবছর তাই আগেই আদালতের প্রয়োজনীয় নির্দেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ৪ জানুয়ারি মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
যা ঘটেছিল...
গত বছর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, নেতাই যাওয়ার পথে তাঁকে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এই নিয়ে প্রায় ২৫ মিনিট পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দুর বাগবিতণ্ডা হয়। বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘হাইকোর্টের আদেশ নিয়েই এখানে এসেছিলাম। তাও পুলিশ বাধা দিয়েছে’। একাই নেতাইয়ে ঢুকতে চেয়েছিলাম। পুলিশ অনুমতি দেয়নি।' প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ওই দিনটিতে নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী।
গত বার, ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে মৃতদের স্মরণে শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছিলেন, কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায়, তাঁকে যাওয়া-আসার সময়েও নিরাপত্তা দেবে সরকার, এর আগে এমনটাও জানানো হয়েছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু অভিযোগ, পথে তাঁকে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। পরে হেঁটে, ভীমপুর পর্যন্ত গিয়ে, সেখানে অস্থায়ী বেদি তৈরি করে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা। এবার এবার তাই আগে থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
জামিনে মুক্তি পান ফুল্লরা মণ্ডল...
গত বছর অগাস্টে ৮ বছর পর মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন লালগড়ের সিপিএম নেত্রী তথা নেতাই কাণ্ডে ধৃত ফুল্লরা মণ্ডল। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা যান ন’জন গ্রামবাসী। জখম হয়েছিলেন ২৮ জন। এঁরা প্রত্যেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল বলে খবর মেলে। স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ দায়ের হয়। মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। গ্রেফতার হন ২০ জন। ফুল্লরা তাঁদেরই একজন।
আরও পড়ুন:ফাঁকা বাড়ি থেকে সোনা-নগদ নিয়ে 'চম্পট', তদন্ত শুরু হতেই বমাল ধৃত 'অভিযুক্ত'