Suvendu Adhikari : কেন ছেড়েছিলেন তৃণমূল ? নন্দীগ্রাম দিবসে ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু
Kuntal Ghosh : শুভেন্দু অধিকারীর যে বক্তব্য ঘিরে কুণাল ঘোষের দাবি, 'ও তো নিজেই পরের বার হেরে যাবে। ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন গতি পেয়েছিল।'
নন্দীগ্রাম : নন্দীগ্রাম দিবস (Nandigram Diwas) কার ? তৃণমূলের না বিজেপির ? দড়ি টানাটানিতে জল গড়িয়েছে হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গোকুলনগরে মিছিল করার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ, সাড়ে ১০টার মধ্যে খালি করে দিতে হবে এলাকা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত একই জায়গায় কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নন্দীগ্রাম দিবস পালনের মাঝে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানালেন, কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি।
কেন ছেড়েছিলেন তৃণমূল ?
আদালতের নির্দেশ মতো নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ দিবস পালন করে বিজেপি (BJP)। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম দিবস পালনের মাঝে তিনি বলেছেন, 'নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতানেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। তৃণমূল এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল। সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব। আগামী বছর ভাইপো ভিতরে থাকবে।'
যারপরই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'রাজনৈতিক দল, পথ পরিবর্তন সকলেই করতে পারে। আর তৃণমূল আমাকে যে সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছিল, তা কার্যত বাধ্য হয়েছিল দিতে। আমি কিন্তু সব ছেড়ে স্বাধীন পথ ও স্বাধীন মত নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে ওদের খুব গায়ে জ্বালা। তবে রোদ হোক বা ঝড়-জল, করোনা হোক বা অন্যকিছু প্রত্যেক বছর শহিদদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এবারে বাইরের লোক ঢুকিয়ে শহিদদের সম্মান জানানোর সুযোগটাও কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পুলিশ এমনটা করছিল। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে এসে আমাদের শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে হচ্ছে।' শুভেন্দু অধিকারীর যে বক্তব্য ঘিরে কুণাল ঘোষের দাবি, 'ও তো নিজেই পরের বার হেরে যাবে। ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন গতি পেয়েছিল।'
ফিরে দেখা নন্দীগ্রাম
১৬ বছর আগে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চই রক্ত ঝরেছিল নন্দীগ্রামে চলে গেছিল ১৪টি নিরীহ প্রাণ। আর সেই শহিদ দিবস পালন ঘিরেই গতবছর নন্দীগ্রামে ফের তুলকালাম বেধেছিল। এবার কী হবে সেদিকেই নজর সকলের।
আরও পড়ুন- স্কুলের অশিক্ষক কর্মীর দাপটে তটস্থ টিচার ইনচার্জ, ঠিক করে দিতেন প্রধান কী করবেন