Suvendu Adhikari: 'সরকারি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ', প্রশ্ন তুলে রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর
West Bengal: একাধিক নিয়োগপত্র ট্যুইট করে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর

কলকাতা: সরকারি নিয়োগ নিয়ে ফের তোপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সরকারি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অভিযোগ এনে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারীর।
কী বলেছেন শুভেন্দু:
বিরোধী দলনেতা বলেন, 'দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৌশলগত ভাবে নিয়োগ সংস্থাগুলির ভূমিকা সঙ্কুচিত করছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হলে কলেজ সার্ভিস কমিশন, পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, পিএসসি-র ভূমিকা কী হবে? রাজ্য সরকার পুলিশের বদলে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে। সিএমও-তে চুক্তিভিত্তিক কনসালট্যান্ট নিয়োগ করছে। কলেজে প্রফেসরের পরিবর্তে অস্থায়ী লেকচারার নিয়োগ করছে। কারণ তাতে খরচ কম, ডিএ নেই। এটাই কি আমাদের যুব সমাজের ভবিতব্য? জোর করে মর্যাদাহীন কাজ এভাবে করতে হবে?'একাধিক নিয়োগপত্র ট্যুইট করে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর
Recruitment scenario in WB:-
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 29, 2023
Position: Special Lecturer
Qualification: MSc in Physics with PhD
Job: Teaching subjects like Electronics & Nano Science
Remuneration: Rs. 300/class; maximum 4 classes/week = Rs. 4800/month
Terms: No TA & DA and doesn't guarantee permanent position pic.twitter.com/S1uzaKhG0H
তৃণমূলের পাল্টা:
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আট বছরে আট লক্ষ চাকরিও হয়নি। ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি বেকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পদ অবলুপ্ত হয়েছে। বামেদের ঋণ ঘাড়ে নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে ক্রমাগত বাংলার অপমান করা হচ্ছে, বাংলাকে আক্রমণ করা হচ্ছে।'
এর আগেও নিশানা:
দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের তরফে বাংলাকে আর টাকা দেওয়া হবে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় ২৩-২৪ অর্থবর্ষে আর রাজ্যকে টাকা দেবে না কেন্দ্র।' ২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতেও রাজ্যকে টাকা দেবে না কেন্দ্র, দাবি শুভেন্দুর। প্রচুর দুর্নীতির জন্য রাজ্যের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের, চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর।
বাঁকুড়ায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন:
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় একটা আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তারা পদার্থবিদ্যায় বিশেষ লেকচারার পদে নিয়োগ করতে চান। তাতে ন্যূনতম যোগ্যতা ধরা হয়েছে, পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর, সঙ্গে নেট কিংবা পিএইচডি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এখানে ধরা হয়েছে। এখানে বেতন বলা হয়েছে, ক্লাসপিছু ৩০০ টাকা। ৩০০ টাকার বিনিময়ে একজন নেট কিংবা পিএইচডি পদার্থবিদ্যার স্নাতকোত্তর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে পড়াতে যাবেন। এই সিদ্ধান্তে হইচই পড়ে গেছে। অনেকে বলছেন, যেখানে ইউজিসি বলছে ক্লাসপিছু দেড় হাজার টাকা করে দিতে হবে, সেখানে ক্লাসপিছু কেন একজন অধ্যাপকের ৩০০ টাকা করে বেতন হবে ? সপ্তাহে তিনি সর্বোচ্চ চারটি করে ক্লাস নিতে পারবেন। অর্থাৎ যোগ্যতার ভিত্তিতে যিনি চাকরি পাবেন, সবকিছু ধরলে তিনি মাসে ৪৮০০ টাকা বেতন পাবেন। এই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়-ই কয়েকদিন আগে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক ঝাড়ুদারের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাঁর বেতন হচ্ছে- মাসে ৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: খুলে গেল রাজভবনের দ্বার! মমতার হাতে চাবি রাষ্ট্রপতির






















