Suvendu Adhikari: সস্ত্রীক রাশিদ খানকে হেনস্থার অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী দলনেতা
Rashid Khan Update: তাঁর দরাজ কণ্ঠে মুগ্ধ গোটা পৃথিবী। সেই রাশিদ খানকে থানায় ডেকে পাঠানো, তাঁর স্ত্রীকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় গাড়ির চালককে আটক করার মতো অভিযোগ।
কলকাতা: সস্ত্রীক রাশিদ খানকে (Ustad Rashid Khan) হেনস্থার অভিযোগ। পুলিশের (Police) দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সামনে আসতেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, "সমাজের বিশিষ্ট মানুষদেরই যদি এরকম হেনস্থার শিকার হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হয় ভেবে দেখুন। পুলিশি রাজের এই ঘটনা এখন খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমিও একইরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছি, কোনও প্রমাণ ছাড়াই ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে আমাকে ফাইন করা হয়েছে।''
If Celebrities are facing such harassment just imagine the plight of the common man in Bengal.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 7, 2022
Such atrocities under the Police Raj of @CPKolkata are very common these days.
I have faced similar situations & have been wrongly penalised for Traffic violations without any evidence.
পুলিশের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী দলনেতা: পুলিশি হেনস্থার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাতে টাকা না দেওয়ায়, পুলিশ তাঁদের গাড়ির চালককে আটক করে বলে অভিযোগ। থানায় গেলে রাশিদ খানের স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশকর্মীরা চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। তাঁর দাবি, মাঝরাতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় উস্তাদ রাশিদ খানকেও (Ustad Rashid Khan)। জয়িতা বসু খানের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে রাশিদ খানকে বাড়িতে নামিয়ে, গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁর গাড়ির চালক। মাঝরাস্তায় পুলিশ সেই গাড়ি আটকায়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী অভিযোগ জয়িতা বসু খানের?
তিনি বলেন, “অর্কেস্ট্রার ফ্লাইট ছিল। ম্যানেজার ছাড়তে যান। দিল্লিতে ফ্লাইট ছিল। বেলেঘাটা ট্রাফিক পুলিশের ওখানে লাইন। পিছনে আটকানো হয়। টাকা চাওয়া হয়েছে। আগের গাড়ি ক্যাশ দিচ্ছিল। ম্যানেজারের কাছে পার্কিং ফি ছাড়া থাকে না। চালক বসেছে দিতে পারব না। তারপর শুরু হয়। পয়সা না দিলে ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ। লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশ লাইসেন্স নিলে এসএমএস আসে। ১৬ ঘণ্টা পরও সেই লাইসেন্সের খোঁজ নেই।’’
রাশিদ খানের স্ত্রীর অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় তাঁদের গাড়ির চালক এবং ম্যানেজারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাশিদ খানের স্ত্রীর দাবি, মাঝরাতে তিনি থানায় যান। কিন্তু, সেখানে তাঁর সঙ্গে পুলিশকর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এরপর থানায় ডেকে পাঠানো হয় উস্তাদ রাশিদ খানকেও। পাল্টা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যই উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্টে তাঁর মত্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। রাশিদ খানের স্ত্রী থানায় দুর্ব্যবহার করেন বলেও পাল্টা দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: