Suvendu Adhikari:'রেশন বণ্টন দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়ামাত্র', কাদের নিশানায় রাখলেন শুভেন্দু ?
Suvendu Attacks Jyotipriya: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। আর এবার কাদের নিশানায় রাখলেন শুভেন্দু
কলকাতা: জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতারির পর স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। আর এবার এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন 'রেশন বণ্টন দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়ামাত্র।'
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, হিমশৈলের বাকি অংশে রয়েছে কারা ? এদিন শুভেন্দু বলেন, 'দুর্নীতির আসল হিমশৈল হচ্ছে ধান সংগ্রহে কারচুপি। ধান সংগ্রহে কারচুপি করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ৫০ শতাংশেরও বেশি ধান সংগ্রহে জালিয়াতি করা হয়েছে। শাসক দলের নেতারা এই জালিয়াতিতে জড়িত', আক্রমণে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় ইডি-র হাতে একের পর এক গ্রেফতারি এবং চাঞ্চল্য়কর সব তথ্য় উঠে আসার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসল রাজ্য় সরকার। খাদ্য় দফতরের পোর্টালে, এবার বাকিবুর রহমানের সংস্থা। NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেডকে হোল্ড করা হল। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায়। ১৪ অক্টোবর গ্রেফতার হন ব্য়বসায়ী বাকিবুর রহমান। আর ২৭ অক্টোবর ইডি গ্রেফতার করে প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে।
ইডি সূত্রে দাবি, এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে, তাঁরা বাকিবুর রহমানের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির কথা জানতে পারেন। যার মধ্য়ে ছিল তাঁর একাধিক সংস্থাও। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ৬টি এমন সংস্থার কথা জানা যায়, যেখানে আটা বণ্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছিল। এর মধ্য়ে একটি সংস্থা ছিল NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা ঢুকেছিল বলে তদন্তে জানা যায়। সূত্রের খবর, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর খাদ্য় দফতরের পোর্টালে এই সংস্থাকে হোল্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, কোন বলে বলীয়ান বাকিবুর? জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন PA-কে ফের তলব
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য় সরকারের তরফে এই চালকলগুলিতে ধান পাঠানো হয়। তারপর এই চালকলগুলি থেকে রাজ্য় সরকার ধান নেয়। সূত্রের খবর,হোল্ড করার অর্থ এই চালকলগুলিতে রাজ্য় সরকার আর ধান পাঠাবে না। বছর তিনেক আগে রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেছিল পুলিশও। ২০২০, ২১ ও ২২ সালে নদিয়ার ধুবুলিয়া, কোতোয়ালি ও নবদ্বীপ থানায় তিনটে FIR করে পুলিশ।২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় FIR দায়ের হয়। সেই FIR-এর ভিত্তিতেই ২০২২ সালে ED ECIR দায়ের করে। কিন্তু, পুলিশের তদন্তে এই দুর্নীতি সামনে আসেনি কেন? এনিয়ে নড়েচড়ে বসতে এতদিন লাগল কেন? এখন ইডি জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর এই ব্য়বস্থা কি মুখ বাঁচাতে? সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।