Suvendu Adhikari: 'কেউই সুরক্ষিত নন..', জোড়া ডাকাতির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
Suvendu on Gold Robbery: জোড়া ডাকাতির ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু অধিকারীর ?
কলকাতা: রাজ্যে পরপর ডাকাতির ঘটনায় এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য, গতকাল প্রায় একই সময়ে রাজ্যের দুই জেলায় রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভরদুপুরে রানাঘাটে নামী সোনার দোকানের শোরুমে গুলি চালিয়ে লুঠের ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে চলেছে গুলির লড়াই। জোড়া ডাকাতির ঘটনায় শুভেন্দু স্পষ্ট বলেছেন, 'রাজ্যের কোথাও কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। কেউই সুরক্ষিত নন।'
রাজ্যে পরপর সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ঘুম উড়েছে রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। অতীতে 'খুন'ও হতে হয়েছে সোনার দোকানের মালিককে। প্রশ্ন একটাই 'নিরাপত্তা' কোথায় ? আর এই প্রশ্নের মাঝেই একইদিনে রাজ্যের দুটি জেলা রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় ২টি সোনার দোকানে পরপর ডাকাতি। সিসিটিভি-র সেই ভয়াবহ ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের বুকে এখনও ব্যারাকপুরের শ্যুটআউটের ঘটনা জ্বলজ্যান্ত।এর আগে ২৪ মে ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে ভরা বাজারে সোনার দোকানে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছিল। ডাকাতিতে বাধা দিতে গেলে সোনার দোকানের মালিককে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি সোনার দোকানে ঢুকেও মালিককে গুলি করার ঘটনার সাক্ষী রাজ্য।
সম্প্রতি ব্যারাকপুরের ঘটনা ঘটেছিল মালদাতেও। ডাকাতদের বোমায় নিহত হন সিভিক ভলান্টিয়ার। চাঁচলের মালতিপুরে ভরসন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দোকানের মালিক। দোকানে ডাকাতির পরে হয়েছিল বোমাবাজিও। তাতেই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। সোনার দোকানের মালিকের পায়ে গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সন্ধে ৬টা নাগাদ বাইকে করে ভরা বাজারে সোনার দোকানে ৬ দুষ্কৃতী চড়াও হয়েছিল সেদিন। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিমি দূরে কাশেমপুরে ডাকাতদের বাধা দেওয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার খুন হয়েছিলেন।একুশ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলিতে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীও খুন হয়েছিলেন। কিন্তু মাঝে বাইশ পেরিয়ে তেইশ সালে পা দিলেও বদলায়নি ছবি। আর এবার একইদিনে পরপর দুই ডাকাতির ঘটনায়, ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার চাদর।
আরও পড়ুন, ED-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব কলকাতা পুলিশের
ভরদুপুরে রানাঘাটে নামী সোনার দোকানের শোরুমে গুলি চালিয়ে লুঠের ঘটনা ঘটেছে। রানাঘাটে গয়নার বিপণি থেকে ৯০ শতাংশ গয়না লুঠের অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়েছে। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি লুঠেরাদের। গুলিবিদ্ধ ১ দুষ্কৃতী। ধাওয়া করে ইতিমধ্যেই ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় একই সময়ে পুরুলিয়াতেও ওই সংস্থার সোনার দোকানের শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুরুলিয়ার শোরুম থেকে অন্তত ৮ কোটি টাকার গয়না লুঠের অভিযোগ উঠেছে।