(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Swami Sivananda: 'যত সাধারণ জীবন, তত দূরে থাকবে রোগজ্বালা', ১২৬-এও নিরোগ থাকার মন্ত্র জানালেন স্বামী শিবানন্দ
Swami Sivananda Speech: পদ্মশ্রী প্রাপ্রক স্বামী শিবানন্দ বলেন, "আমার আজ পর্যন্ত কোনও দিন অসুখ হয়নি। জয়ফুল লাইফ। ডিজায়ার লেস লাইফ, ডিজিজ লেস লাইফ।"
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কাশীর (Kashi) স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)। বয়স প্রায় ১২৬। যোগব্যায়ামে অবদানের জন্য এবছরই পদ্মশ্রী (Padmashree) সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। জীবনের শতবর্ষকে আরও সিকি শতক পিছনে ফেলে আসা সেই মানুষটি এই রাজ্যে এসে জানালেন তাঁর দীর্ঘ জীবনের রহস্যের কথা। বললেন চাহিদামুক্ত জীবনই হল রোগমুক্ত জীবনের চাবিকাঠি।
১৮৫৭ সালের মহা বিদ্রোহের ৩৯ বছর পর জন্ম। দেখেছেন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের রূপ। প্রত্যক্ষ করেছেন স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস। সাক্ষী থেকেছেন দেশের স্বরাজ অর্জনের। এবং এখনও তিনি দেখে চলেছেন। যা আছে দেহভাণ্ডে, তাই আছে ব্রহ্মাণ্ডে। সহজিয়া সাধনার এই কথাখানি বয়স ও অভিজ্ঞতার নিরিখে যেন অন্য ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাশীর শিবানন্দ স্বামী।
আধারকার্ড ও পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, জন্ম হয়েছিল ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট। জন্মস্থান অবিভক্ত বাংলার শ্রীহট্ট। মাস দেড়েকের মধ্যেই ১২৬ বছর পূর্ণ করবেন তিনি। অথচ এই বয়সেও অনুরোধ করা মাত্র অবলীলায় আসন করে দেখিয়ে দেন। পদ্মশ্রী প্রাপ্রক স্বামী শিবানন্দ বলেন, "আমার আজ পর্যন্ত কোনও দিন অসুখ হয়নি। জয়ফুল লাইফ। ডিজায়ার লেস লাইফ, ডিজিজ লেস লাইফ।"
আরও পড়ুন, স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে নিয়েছেন ৯ লক্ষ, টাকা ফেরত পেতে তৃণমূল কর্মীর পা ধরলেন প্রার্থী
View this post on Instagram
যোগব্যায়ামে বিশেষ অবদানের জন্য স্বামী শিবানন্দকে এবছরই পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সপ্তাহখানেকের বাংলা সফরে এসে 'পদ্মশ্রী' শুনিয়েছেন তাঁর দীর্ঘ জীবন ও অবিশ্বাস্য ফিটনেসের রহস্য।
কাকভোরে উঠে যোগাভ্যাস, প্রতিদিন প্রাতর্ভ্রমণ, সকালে নিয়মিত পুজো-অর্চনা, সকালের মধ্যে ৩ বোতল জল পান, খুব কম নুন দেওয়া পরিমিত নিরামিষ আহার গ্রহণ, দিনের খাবার বলতে ৩টি রুটি ও সবজি, রাতে শুধু খই-মুড়ি অথবা বার্লি।
পদ্মশ্রী প্রাপক বলেন, "বেশি খেলে ওভারলোডিং। কম খেলেই ভাল থাকবে। যোগাসন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। সেটা সম্ভব না হলে হাঁটতে হবেই।" কলকাতায় এসে বারাণসীর কবীরনগরের বাসিন্দা স্বামী শিবানন্দের বার্তা, জীবনশৈলী যত সাধারণ হবে, রোগজ্বালা তত দূরে থাকবে।