Swine Flu: করোনা, ডেঙ্গি-র বারবারন্তেই সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপ, উপসর্গগুলো চেনেন তো?
flu: সোয়াইন-ফ্লু প্রতিরোধের নিয়ম অনেকটা করোনা ভাইরাসের মতোই। চিকিৎসকরা বলছেন, সোয়াইন ফ্লু মূলত হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ায়। তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আক্রান্তর নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
কলকাতা: একে ডেঙ্গিতে (Dengue) রক্ষে নেই, এবার দোসর সোয়াইন ফ্লু (Swine Flu)। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা। এরইমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার (Malaria) মতো মশাবাহিত রোগ। এর ওপর এবার দাপট দেখাতে শুরু করেছে সোয়াইন ফ্লু (Swine Flu)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোয়াইন ফ্লুর উপসর্গ হল, সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর, গা-হাত পায়ে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা ও দুর্বল ভাব।
প্রতিরোধের নিয়ম: সোয়াইন-ফ্লু (Swine Flu) প্রতিরোধের নিয়ম অনেকটা করোনা ভাইরাসের মতোই। চিকিৎসকরা বলছেন, সোয়াইন ফ্লু মূলত হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ায়। তাই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আক্রান্তর নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। ঘন ঘন সর্দি, কাশি, জ্বর হলেই যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তদের থেকে বৃদ্ধ, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের দূরে রাখতে হবে। খাওয়ার আগে ভাল করে হাত ধুতে হবে। ডেঙ্গি, সোয়াইন ফ্লুর পাশাপাশি, চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়াও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭২ জন।
ডেঙ্গির চোখ রাঙানি: এ দিকে করোনার প্রকোপ একটু কমতেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। গত বছর জানুয়ারি থেকে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ অবধি রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৭। আর এ বছরের শুরু থেকে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংখ্যাটা ৩ হাজার ১০৪ অর্থাৎ এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি।
সম্প্রতি নবান্নকে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বছরে, প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। রিপোর্ট বলছে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া-সহ রাজ্যের ১২টি পুরসভায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভীষণরকম উদ্বেগজনক। সেই তালিকায় রয়েছে,
- কলকাতা
- হাওড়া
- বালি
- পানিহাটি
- আসানসোল
- কামারহাটি
- বিধাননগর
- টিটাগড়
- ইংরেজবাজার
- রিষড়া
- রাজপুর-সোনারপুর
- শিলিগুড়ি পুরসভা
স্বাস্থ্য দফতর বলছে, বাংলার গ্রামীণ এলাকার ১৬টি ব্লকের ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগের। ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহণ করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। পুরো জীবনচক্রে মশার শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু বেঁচে থাকে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লে তার মাধ্যমে জন্মানো নতুন মশার শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু সংক্রমিত হয় এবং সেই মশা কামড়ালে রোগ ছড়ায় মানুষের শরীরে। চিকিত্সকদের পরামর্শ, এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।