Tab Controversy: জেলায় জেলায় ট্যাব 'কেলেঙ্কারি', CID তদন্ত দাবি প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্যে সরকার।
কলকাতা: মেদিনীপুর ও মালদায় ট্যাবের (Tab Controversy) টাকা না পাওয়া নিয়ে পড়ুয়াদের বিস্তর অভিযোগ। এবার এই ২ জেলার মোট ৭ জন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। আর প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন।
জেলায় জেলায় ট্যাব 'কেলেঙ্কারি': একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্যে সরকার। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে, সেই টাকা নিয়েও, সামনে আসছে একের পর এক অভিযোগ। কোথাও অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা। কোথাও সরকারি রেকর্ডে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বরই বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এর মধ্য়েইপূর্ব মেদিনীপুরের চারজন প্রধান শিক্ষক ও মালদায় তিনজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে FIR করেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। আর প্রশাসনের এই পদক্ষেপেই ক্ষুব্ধ প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স এন্ড হেডমিস্ট্রেসেস(ASFHM)। প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষাসচিবকেও চিঠি পাঠিয়েছে তারা।
প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাদের আরও দাবি, এই সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত স্কুলশিক্ষা দফতর ও জেলা প্রশাসনের কিছু আধিকারিক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "সমস্ত কাজ শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, সব কাজ করছেন। শিক্ষা বহির্ভূত কাজে আমাদের যুক্ত করা হচ্ছে, অ্যাকাডেমিক কাজ ছেড়ে। সেই জায়গায় কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে দেখতে হবে। কন্যাশ্রীর টাকা তো অন্য জায়গায় যায় না। তাহলে এটা কেন গেল? কে বা কারা জড়িত আছে? বৃহত্তর কোনও চক্র জড়িয়ে আছে কিনা। সেটা CID-র তদন্তের দরকার। কিংবা সাইবার ক্রাইম লালবাজার। তাদের কাছে বলে আমরা এই তদন্ত দাবি করছি।''
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েকটা স্কুলে এটা হয়েছে। আমরা ধরে ফেলেছি। আমরা চিহ্নিতও করে ফেলেছি। সরকারি যদি কোনও আধিকারিকের ভুল থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এটা নিয়ে আর গোলযোগ নেই। যাদের নামে ট্যাবের টাকা ওই জেলায়, সেই ছাত্র-ছাত্রীরাই পাবেন।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।