Tarakeswar Srabani Mela 2025: শনি-রবি মধ্য়রাত থেকেই খোলা মন্দিরের দরজা, শ্রাবণের শুরুতে ভক্ত সমাগম তারকেশ্বরে
Tarakeswar News: বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে জল তুলে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে লক্ষ লক্ষ পুণ্য়ার্থী তারকেশ্বরে পৌঁছাচ্ছেন।

সোমনাথ মিত্র, তারকেশ্বর: তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে ভক্তদের ঢল। এই প্রথম শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক শনি ও রবিবার ভক্তদের জন্য মধ্যরাত থেকে খোলা থাকছে মন্দিরের দরজা। যাত্রী সুবিধার্থে "তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা" নামে প্রশাসনের উদ্দ্যোগে চালু হয়েছে বিশেষ অ্য়াপ। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে যাত্রী সুরক্ষায় ও সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গুরু পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়েছে তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা। বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে জল তুলে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে লক্ষ লক্ষ পুণ্য়ার্থী তারকেশ্বরে পৌঁছাচ্ছেন। মন্দিরে জল ঢেলে পরম তৃপ্তি অনুভব করছেন ভক্তরা। শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে মন্দিরে। তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বছরই প্রথম শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার মধ্যরাত থেকে খুলে যাচ্ছে মন্দিরের দরজা। চলতি সপ্তাহ অবধি শনিবার ও রবিবার রাত ২টো থেকে খোলা হয় মন্দিরের দরজা। যেখানে মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি একটা স্পেশাল লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোর বেলা বাবার মঙ্গল আরতি সম্পন্ন হলে ৪টে নাগাদ সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে মন্দিরের দরজা। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর , শ্রাবণ মাসের আগামী প্রত্যেক শনি ও রবিবার মন্দির খোলার সময় আরও ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের আগামী প্রত্যেক শনি ও রবিবার রাত ১২টা থেকে মহিলা পুণ্যার্থীরা জল ঢালতে পারবেন। পাশাপাশি জল ঢালার একটি বিশেষ লাইনে ও খোলা থাকবে। প্রত্যেক বারের ন্যায় এবারেও কিন্তু মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার মুখে চোঙা লাগানো হয়েছে তাতেই জল ঢালছেন ভক্তরা। তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার অনেক ভিড় হয়েছিল। শনিবার ও রবিবার ভিড় এড়াতে রাত ২টো থেকেই মহিলা ভক্তদের লাইন খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভোরবেলা মক্তল আরতি সম্পন্ন হলে সর্বসাধারণের লাইন খুলে দেওয়া হচ্ছে।''
'তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা' নামে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে প্রশাসন। সেই অ্যাপ থেকে মেলায় আগত পুণ্যার্থীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম তথ্য জানতে পারবেন। পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় অনেক স্পেশাল ট্রেন দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তারকেশ্বর স্টেশনেও বিশেষ দিনগুলোতে মোতায়েন থাকছে অতিরিক্ত রেল পুলিশ। শ্রাবণী মেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে একেবারে গঙ্গার ঘাট যেখান থেকে জল তোলা হয় সেখান থেকে তারকেশ্বর অবধি পুণ্যার্থীদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে। নিমাই তীর্থ ঘাটে গঙ্গায় হরিদ্বারের মতো চেন দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে, বৈদ্যবাটি ও তারকেশ্বর শহর পুরোটাই সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বর অবধি গোটা রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিএইচই-র পক্ষ থেকে রাস্তার ধারে ৪৮০টি অস্থায়ী শৌচাগার করা হয়েছে। ৮টি বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এক কিলোমিটার অন্তর স্বাস্থ্য শিবির করা হয়েছে। পুলিশ দমকল বিভাগ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ২৪ ঘণ্টা সতর্ক আছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাস্তার একাধিক জায়গায় লোহার গেট বসানো হয়েছে।






















