Job Seeker's Agitation: নিয়োগ-আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীকে কামড়! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
Job Agitation: ক্যামেরায় স্পষ্ট ছবি ধরা পড়লেও, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দাবি, কামড়ানো হয়নি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: এক্সাইড মোড়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীকে ধাওয়া করে কামড় মহিলা পুলিশকর্মীর! এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় স্পষ্ট ছবি ধরা পড়লেও, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দাবি, কামড়ানো হয়নি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাউথ ডিভিশনে কর্মরত ওই পুলিশকর্মী। এদিন দুপুরের পরে পৌনে তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদন মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোচ্ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তখন তাঁদের ধাওয়া করেন পুলিশকর্মীরা। এলগিন রোডের দিকে ছুটে গিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। একাধিক জায়গায় বলপ্রয়োগ করতে দেখা যায় পুলিশকে। চ্যাংদোলা করে তোলা হয় ভ্যানে। যাঁরা ভ্যানের নীচে ঢুকে গিয়েছিলেন, তাঁদের টেনেহিঁচড়ে বের করা হয়। এরপরেই আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে এসে জমায়েত করেন।
কী দেখা গিয়েছে?
ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে দেখা যায় ওই পুলিশকর্মী ছুটে যাচ্ছেন, দিয়ে সোজা এক মহিলার হাতে কামড় বসিয়ে দিতে দেখা যায়। তারপর তিনি সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ।
অভিযোগ অস্বীকার:
অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দাবি, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
বলপ্রয়োগের ছবি:
কোথাও পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বাঁ হাত দিয়ে আন্দোলনকারীকে ঘুষি মারতে দেখা যায় এক পুলিশকর্মীকে। কোথাও আবার এক চাকরিপ্রার্থীর উপর আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। আন্দোলনকারীদের দাবি তিনি পুলিশকর্মী।
কড়া সমালোচনা:
নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, 'যাঁরা আন্দোলন করছেন, আমাদের আশঙ্কা ছিল তাঁদের একটা সময় ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটবে। তাঁরা বুঝতে পারছেন তাঁদের সময় নষ্ট করাচ্ছে সরকার। পুলিশ কোনওদিনই সংবেদনশীল নয়। কোনও আমলেই সংবেদনশীল নয়। শুধু পুলিশের দিকে আঙুল তোলা ঠিক হবে না। যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য দায়ী সরকার। সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। পুলিশ দিয়ে হবে না।' অভিনেতা এবং সমাজকর্মী বাদশা মৈত্র বলেন, 'আমি কয়েকদিন আগেই গিয়েছিলাম। শুনেছি ওদের সঙ্গে কী হয়েছে। প্রশাসন দিয়ে গায়ের জোরে, পুলিশ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। এদের সঙ্গে এমন অমানবিক ব্যবহার সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। ওঁদের সঙ্গে কথা বলে ওদের ন্য়ায্য দাবি যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করা হোক।
আরও পড়ুন: 'মেধার সঙ্গে প্রতারণা করে চাকরি বিক্রি', নিয়োগ-আন্দোলনে পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে তরজা