TET Agitation: যাঁকে পুলিশের কামড়! তাঁকেই জামিন অযোগ্য ধারা! গ্রেফতার চাকরিপ্রার্থী
TET: হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দিন রাতে ৩০জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে।
কলকাতা: টেট (TET) বিক্ষোভে আক্রান্তকেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার! চাকরি চেয়ে পুলিশের (Kolkata Police) কামড় খেলেন যে চাকরিপ্রার্থী, তাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ! আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল (Arunima Paul)-সহ আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দিন রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে। উল্লেখ্য, বুধবার একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে অরুনিমাসহ বাকি ৩০ জনকে। কাল তাঁদের কোর্টে পেশ করা হবে।
এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল। দিনভর অব্যাহত থাকল উত্তেজনা। ঝরল রক্ত। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। পুলিশের তাড়া খেয়ে বহু চাকরিপ্রার্থী ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে দৌড়ে যান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দফতরের সামনে শুরু হয় অবস্থান। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে তুলে দেয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে।
অন্যদিকে, সকালেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েতের ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। আটক বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিয়ালদা স্টেশনেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বুধবার নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড় দিলেন পুলিশকর্মী! খাস কলকাতার বুকে ঘটল এই ঘটনা। যদিও কামড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশকর্মী। পুলিশের দাবি, যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতেও নাকি কামড়ে দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী।
প্রথমে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ আর তারপর, আন্দোলন মোকাবিলায় নজিরবিহীন পুলিশি কীর্তির সাক্ষী থাকল কলকাতার রাজপথ! কামড় থেকে ঘুষি, আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশ বাদ দিল না কিছুই! এদিকে আন্দোলনকারীকে পুলিশের কামড়ের এই ছবিই মনে করিয়ে দিয়েছে, আরেকটি কুখ্যাত ঘটনার কথা!এদিন এক্সাইড মোড় থেকে একদল চাকরিপ্রার্থী দৌড়তে দৌড়তে এসে, ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে এসে পড়ে। তাদের টেনে হিচড়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ঠিক তখনই আচমকাই দৌড়ে এসে এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। প্রশিক্ষিত উর্দিধারী পুলিশ কর্মীদের এহেন আচরণে হতবাক প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও! যদিও পুলিশের দাবি যে পুলিশ কর্মী চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতেও কামড়ে দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী। পুলিশকর্মীর হাতে রয়েছে, কামড়ানোর দাগ! SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।