Dilip Ghosh : "পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশই নেই", করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযানের কড়া সমালোচনা দিলীপের
Karunamoyee Incident : গতকাল রাত ২টোর সময় সল্টলেকে ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে অবস্থানরত ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীদের কাছেও চলে পুলিশি অভিযান
কলকাতা : করুণাময়ীতে গভীর রাতে পুলিশি অভিযানের কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। "পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশই নেই" বলে অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।
করুণাময়ীতে ধুন্ধুমার-
গতকাল গভীর রাতে পুলিশি অভিযানে করুণাময়ীতে (Karunamoyee) ধুন্ধুমার বাধে। ৮৪ ঘণ্টার মাথায় চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অভিযোগ, তাঁদের ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেয়। তবে এ সব কিছুর পরও পিছু হটতে নারাজ তাঁরা। আজ ভোরেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের একাংশ শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে ফিরে যান ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অবস্থান মঞ্চে।
অন্যদিকে, গতকাল রাত ২টোর সময় সল্টলেকে ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে অবস্থানরত ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীদের কাছেও চলে পুলিশি অভিযান। কয়েকজনকে বুঝিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। বাকিদের টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। এরপর রাতেই তাঁদের নিয়ে এসে ধর্মতলা বাস টার্মিনাস, শিয়ালদা স্টেশন ও হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দেয় পুলিশ। মহিলা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি না ভেবে পুলিশ কীভাবে অত রাতে তাঁদের স্টেশনে, বাস টার্মিনাসে ছেড়ে দিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীরা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "এই সরকার কাজও করবে না, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে আসে, সরিয়ে দিচ্ছে, লাঠিপেটা করছে। যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন, চাকরির জন্য আবেদন-নিবেদন করেছেন, তাঁরা অনশন করছেন। তিন দিন ধরে না খেয়ে ছিলেন। রাতের বেলায় পুলিশ তাঁদের নির্মমভাবে ওখান থেকে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে। আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশই নেই, যে নিজের বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে পারে, আন্দোলন করতে পারে।"
অন্যদিকে ঘটনার কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?
আরও পড়ুন ; 'মানুষ এই দুর্নীতিপরায়ণ সরকারকে ছুঁড়ে ফেলবে', টেট প্রার্থীদের আন্দোলন ভাঙতেই বিস্ফোরক সুকান্ত