Jhargram News:জল পাই কোথায়? প্রবল গরমে তৃষ্ণা মেটাতে গৃহস্থের দোরগোড়ায় হাজির হাতি
Elephant Reaches Residential House:ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই বাড়ছে তাপমাত্রা। মার্চের গোড়ায় রোদের জ্বালাপোড়া অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে তৃষ্ণার জল পাওয়া বড় কঠিন।
অমিতাভ রথ, ঝাডগ্রাম: ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই বাড়ছে তাপমাত্রা। মার্চের গোড়ায় রোদের জ্বালাপোড়া অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে তৃষ্ণার জল (Thirsty Elephant) পাওয়া বড় কঠিন। ক্লান্ত রামলাল তাই জলের খোঁজে সটান পৌঁছে গেল গৃহস্থের (Residential Place) বাড়িতে। তৃষ্ণার মুহূর্তে অতি বড় শত্রুকেও ফেরানো যায় না, আর এতো হাতিঠাকুর বলে কথা। তড়িঘড়ি তাই রামলালের জন্য সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দিলেন ওই বাড়ির লোকজন। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) রেঞ্জের পুকুরিয়া বীটের অরুনডিহিতে ঘটনাটি ঘটেছে।
কী ঘটেছে?
তৃষ্ণার জ্বালা বড় জ্বালা। সেই জ্বালা মেটাতেই কাজু জঙ্গল ছেড়ে সটান গৃহস্থ বাড়িতে এসে হাজির হয় রামলাল। লোকজন দেখেই বোঝেন, হাতিটি তৃষ্ণায় কাতর। আর দেরি করেননি। সাবমারসিবল পাম্প চালিয়ে দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। সেই জল খেয়েই তৃষ্ণা নিবারণ করে রামলাল। শুধু তাই নয়। বালতিতে রাখা জল ছিটিয়ে শরীরও ঠান্ডা করে নেয় কিছুটা। তারপর কলা গাছ খেয়ে নেটের বেড়া ভেঙে দিয়ে আবার কাজু বাগানে প্রবেশ করে। বাড়ির লোকজন তখনও আতঙ্কে। বাইরে তার এই কীর্তিকলাপ চলে প্রায় আধ ঘন্টার ওপর। তবে শেষমেশ কারও কোনো ক্ষতি করেনি সে। প্রসঙ্গত, জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল। এক ডাকে জেলার সকলে তাকে চেনে। খেয়ালখুশি মতো যার তাঁর বাড়িতে ঢুকে খাওয়া দাওয়া সারা রামলালের 'প্রিয় পাসটাইম'। লোকজন তটস্থ থাকেন ঠিকই। তবে এখনও পর্যন্ত কারও কোনও ক্ষতি করেনি সে। বরং হাতিটি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। ঝাড়গ্রামের মতো জেলা যেখানে হাতির দাপটে এলাকার পর এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়, সেখানে রামলালের মতো শান্তিপ্রিয় প্রাণীর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সহাবস্থানে অসুবিধা হয়নি কারও। প্রসঙ্গত, মাসছয়েক আগেই হাতির হামলায় ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছিল সাঁকরাইল ব্লকের চুনপাড়ার বাসিন্দা শশাঙ্ক হালদার ও বাবুরাম বিশ্বাসের।
দাঁতালের হামলা...
২০২২ সালের ১৯ অগাস্ট দাঁতালের তাণ্ডবে সাঁকরাইল ব্লকের চুনপাড়ার বাসিন্দা শশাঙ্ক হালদার ও বাবুরাম বিশ্বাসের মাটির বাড়ি ভেঙে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয় ফসলের। প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত ২ পরিবারের অভিযোগ, সকলের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। শেষমেশ, কর্মহীনদের স্বনির্ভর প্রকল্প কর্মতীর্থ-র জন্য তৈরি দোকানঘরে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে ব্লক প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য কাঞ্চনা বিশ্বাস বলেন, 'সবাইকে বলেছি। কেউ কিছু করেনি।'
আরও পড়ুন:আসানসোল জেলকে ই-মেল ইডির, অনুব্রতর দিল্লি-যাত্রা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত