Mukul Roy: খোঁজ মিলছে না মুকুল রায়ের! সল্টলেকের বাড়ি থেকে 'উধাও' তৃণমূল নেতা
Mukul Roy News: বাবার খোঁজ পেতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বীজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।
কলকাতা: আচমকা 'ভ্যানিশ' মুকুল রায় (Mukul Roy)? কোথায় গেলেন কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিধায়ক (MLA)? ঘনীভূত রহস্য। মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের দাবি, সল্টলেকের বাড়ি থেকে তাঁর বাবাকে নিয়ে যান ২ জন। তারপর থেকেই আর মুকুল রায়ের কোনও খোঁজ মিলছে না।
এই পরিস্থিতিতে বাবার খোঁজ পেতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বীজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। এরই মধ্যে, দিল্লিগামী একটি বিমানের টিকিটের ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে নাম রয়েছে মুকুল রায়ের। তাহলে কি মুকুল রায় দিল্লি গেছেন? হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে কেন দিল্লি গেলেন? জল্পনা বিভিন্ন মহলে।
মমতার 'ছায়াসঙ্গী' মুকুল ২০১৯ এ লোকসভা ভোটের আগে ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। যা নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয় কাঁচরাপাড়ার 'ভূমিপুত্র'কে। ২০২১ এ বিজেপির টিকিটেই বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করেন এই দুঁদে রাজনীতিক। যদিও একুশের ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর মমতা শিবিরে ফের ফিরে আসেন একদা তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'।
অন্যদিকে, কোথায় গেলেন মুকুল রায়? এই জল্পনার মধ্যেই অনুপম হাজরার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট। ফেসবুক পোস্টে বিজেপি নেতা শুধু লেখেন, প্রত্যাবর্তন। কী বলতে চেয়েছেন অনুপম হাজরা? তা নিয়ে ফের তৈরি হয়েছে রহস্য। মুকুল রায়ের 'নিখোঁজের' প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'নিখোঁজ অনেকদিন আগেই হয়েছেন। ছয় মাসের মধ্যে দেখুন ওর কোন খবর আছে। উনিতো একজন এমএলএ আছেন। বাংলার রাজনীতিতে খুব বড় ব্যক্তিত্ব উনি নেতা কেন কোন খবর নেই। আমার মনে হয় এটা লস্ট কেস। মুকুল রায় কে নিয়ে কেউ চিন্তা করে না আর।'
আরও পড়ুন, যতদিন আয়ের সুযোগ আছে, ততদিনই MLA-MP'রা দিদির সঙ্গে আছেন, দাবি দিলীপের
যদিও মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়া নিয়ে শুভ্রাংশু রায় বলেন, 'মুকুল রায়ের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবেন না। কাল কোনও এজেন্সি একটি ছেলের মাধ্যমে বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে'। বাবার দিল্লিযাত্রার পিছনে বড় কোনও টাকার খেলা হয়েছে। আমাকে না জানিয়েই ২ সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছেন বাবা। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, বাবা সুস্থ নয়। কাল মুখ্যমন্ত্রী নিজে ২ বার বাবার খবর নিয়েছেন। একজন সুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদান আর অসুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদানে পার্থক্য আছে। কাল কোনও এজেন্সি একটি ছেলের মাধ্যমে বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে'।