Murshidabad News: প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল? তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ দলীয় ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই
TMC Infighting: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূল বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠল দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Infighting)। তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) সামনেই তাঁর অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠল দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রাণনাশের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি,অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। এমন লোককে বিধায়ক করেছি, যাঁর লোকজনের হাতে মার খাচ্ছে দলীয় কর্মীরাই, পাল্টা হুমায়ুন কবীরকে তোপ দেগেছেন ভরতপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম।
কী ঘটেছিল?
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ব্লক সভাপতির অনুগামী এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিনের অশান্তিতে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর যাঁদের মধ্যে অন্তত দু'জনের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, 'ব্লক সভাপতির ভাইপো, তাঁর নির্দেশেই এই বিধানসভার লোক ও পাশের বড়ঞা বিধানসভার কয়েকজন লোককে নিয়ে এসে অতর্কিতে আক্রমণ করেন। আমাদের ৪ জন আক্রান্ত হন। আমাদের কিছু লোক ধর ধর করে তাড়া করলে তারা নজরুল ইসলামের অফিসে আশ্রয় নেয়।' পাল্টা ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি, তাঁরই অনুগামীদের মারধর করা হয়েছে। নজরুল ইসলামের কথায়, 'এমন লোককে বিধায়ক করেছি, যাঁর লোকজনের হাতে মার খাচ্ছেন দলীয় কর্মীরাই'। পুলিশ প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তিনিও। সংবাদমাধ্যমের কাছে যে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রীতিমতো লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অন্যের উপর চড়াও হতে হচ্ছেন বেশ কয়েক জন। ঘটনার পর একদিকে স্বয়ং শাসকদলের বিধায়ক নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অন্য দিকে, ব্লক তৃণমূল সভাপতির অভিযোগের তির, ভরতপুরের দলীয় বিধায়কের দিকেই। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু পরিস্থিতি যে তারা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেটি স্পষ্ট। এহেন অবস্থায় যে কোনও মুহূর্তে আরও বড় কোনও অশান্তি হতে পারে ভরতপুরে, এমনই আশঙ্কা বাসিন্দাদের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, 'পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট নিয়ে শাসক দলের সংঘাত এটি। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, হিংসার তীব্রতা আরও বাড়বে।' অন্য দিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, 'শাসকদলের বিধায়কও প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন। তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?'
আরও পড়ুন:বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম ! একটি কাপের দামে কেনা যাবে গাড়ি