TMC:অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে বাড়ির একাংশ ভাঙাকে কেন্দ্র করে কলকাতাতেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'
Party Infighting:খাস কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে বাড়ির একাংশ ভাঙাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: খাস কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের (Illegal Construction Demolition) অভিযোগে বাড়ির একাংশ ভাঙাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব (TMC Infighting)। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগের প্রতিবাদ করায় প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, দাবি বাড়ির ভেঙে দেওয়া অংশের মালিক তৃণমূল নেতার। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সরব হয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলরও।
কী নিয়ে বিতর্ক?
মুরারিপুকুরের হরিশ নিয়োগী রোডের এই বাড়ির একাংশ বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার বাড়ির বেআইনি সেই অংশ ভেঙে দিল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই বাড়ির একাংশ ভাঙাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্যে এল শাসকদলের অন্দরের দ্বন্দ্ব। বাড়ির যে অংশ ভেঙে দেওয়া হল, সেই অংশের মালিক স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল রায়। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদ করায় বাড়ি ভেঙে দেওয়া হল। গোপালের কথায়, 'কাউন্সিলরের দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছি। তাই আমার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হল। এখানে প্রায় সব বাড়িরই অংশ বেআইনি আছে। কিন্তু, আমার বাড়িই ভেঙে দেওয়া হল।' কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অমল চক্রবর্তী কী বলছেন? 'মিথ্যে অভিযোগ, কাউন্সিলরের কথায় নয়, পুরসভা নিজের মতো করে কাজ করে। পুরসভা থেকে থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ভাঙা হয়েছে। ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। বাড়ির একাংশের মালিকের সঙ্গে ওর ঝামেলা আছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।'
আগেও প্রকাশ্যে...
এর আগে নানা ইস্যুতে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব! এবার বাড়ির একাংশ ভাঙাকে কেন্দ্র করেও, সামনে চলে এল একই ঘটনা। এদিনই যেমন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি কলেজ , ঝরে রক্ত। প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে, টিএমসিপি জেলা সভাপতিকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে কলেজে ইউনিট খুলছেন টিএমসিপি জেলা সভাপতি, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ টিএমসিপিরই অন্য গোষ্ঠীর। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি। কয়েকদিন আগে আবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে চর্চায় এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সে বার বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রধান হলেন দলেরই আর এক সদস্য। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে নবনির্বাচিত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি-সহ ৩ জনকে শোকজ করেন তৃণমূল । এই পঞ্চায়েতে ২০টি আসনেই জয়ী হয় শাসক দল।প্রধান হিসাবে বিবেক শী-র নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল নেতৃত্ব । বোর্ড গঠনের দিন দলের নির্দেশ না মেনে প্রধান হিসাবে প্রদীপ পালের নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। এই নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। এবার অশান্তির কেন্দ্রে বাড়ি ভাঙা।
আরও পড়ুন:'সিপিএম-কংগ্রেসকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টায় BJP', মন্তব্য মমতার