
Sujan Chakraborty: আসল নামে সার্টিফিকেটই নেই, তাও প্রাথমিক সংসদের সভাপতি! এ বার তৃণমূলের নিশানায় সুজনের শ্বশুর
Kunal Ghosh:সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুর শান্তিময় ভট্টাচার্য। একসময় সিপিএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক ছিলেন তিনি।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও রঞ্জিত হালদার: স্ত্রীর পর এবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) শ্বশুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একটি চিরকুট প্রকাশ্যে এনে সুজন চক্রবর্তীকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। পাল্টা, জবাব দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও।
সিপিএম-এর (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজনকে লাগাতার নিশানা করেই চলেছে তৃণমূল (TMC)। দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল জোড়াফুল শিবির। প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল একাধিক নথিও। এ বার সুজনের প্রয়াত শ্বশুরের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ তুলল শাসক শিবির।
সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুর শান্তিময় ভট্টাচার্য। একসময় সিপিএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "শান্তিময় ভট্টাচার্য দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। ওঁর আসল নাম দেবব্রত ভট্টাচার্য। হিন্দু মহাসভার কর্মী ছিলেন। একটি জটিলতা থেকে নামবদল করেন। আদালতে গিয়ে নামবদল হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হন। শান্তিময় ভট্টাচার্য নামে কোনও সার্টিফিকেট নেই। তিনি কী করে সরকারি পদে বসেছিলেন?"
সিপিএম মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক কমরেড নিখিলকে সাংসদ সুজন চক্রবর্তীর চিঠি। চাকরির সুপারিশ। 'করে দিতে হবে।'
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 28, 2023
এটাই চিরকুট। pic.twitter.com/ghswzog57J
কুণালের কথায়, "তদন্ত হোক যে, শংসাপত্র কোথায়। শান্তিময় ভট্টাচার্যের অস্তিত্ব কোথায়? এটা একটা মস্ত বড় কেলেঙ্কারি। এর তদন্ত হোক। এই সব মারাত্মক অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম-এর একাংশই আমাদের দিয়েছে। আমরা শিক্ষা দফতরকে পাঠিয়েছি।"
এর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএম-এর প্রাক্তন জেলা সম্পাদক এবং বর্তমানে পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ডের মুখে উঠে এসেছিল এই প্রসঙ্গ।তাঁর দাবি ছিল, মিলির চাকরি হয়েছিল সুপারিশেই। বাম জমানায় এমন হাজার হাজার চাকরি হয়েছে। তিনি জেলায় দায়িত্বে থাকাকালীন মিলির চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তার জন্য কোনও টাকা নেননি বলে দাবি করেন সমীর।
সুজনের লেখা একটি চিরকুটও সামনে এনেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সাংসদ থাকাকালীন নিজের প্যাডে সুভাষ চক্রবর্তীর আপ্তসহায়ককে চিঠি দেন সুজন। '(চাকরি) করে দিতে হবে' বলে লেখা থাকতে দেখা গিয়েছে তাতে। সেই নিয়েও নতুন করে তেতে উঠেছে বাংলার রাজনীতি। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক অভিযোগে যখন জেরবার দল, সেই সময় তৃণমূল কি পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তের পথে হাঁটবে, উঠছে প্রশ্ন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
