(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kunal Ghosh: মমতার দয়াতেই পসার অধিকারীদের, জোড়াফুল প্রতীক ছাড়তে পারছেন না আজও, শুভেন্দুকে জবাবি আক্রমণ কুণালের
Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম না থাকলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
কাঁথি: নন্দীগ্রাম না থাকলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার পাল্টা এ বার তৃণমূলের (TMC) আক্রমণের মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার দয়া-দাক্ষিণ্যেই রাজনীতিতে অধিকারী পরিবার পসার জমাতে পেরেছে বলে দাবি করল তারা। তৃণমূল কর্মীদের আবেগ, শহিদদের আত্মত্যাগ এবং মমতার লড়াইকে নিজেদের স্বার্থে অধিকারীরা ব্য়বহার করেছেন বলে অভিযোগ করল তৃণমূল।
মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর, জবাব কুণালের
মমতার উদ্দেশে শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দিতে এ দিন সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "শিশির অধিকারী একবার মাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন, তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। তৃণমূলের প্রতীকচিহ্ন ছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেননি। শুভেন্দু সাংসদ হয়েছেন মমতার দয়ায়, সৌমেন্দু চেয়ারম্যান হয়েছেন মমতার দয়ায়, দিব্যেন্দু সাংসদ হয়েছেন, তা-ও মমতার দয়ায়। তৃণমূল কর্মীদের আবেগ, শহিদদের আত্মত্যাগ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে ব্যবহার করে, দলের প্রতীকে জেতেন ওঁরা। এখন বিজেপি-র মঞ্চে বসেও সেই প্রতীক ছাড়তে পারছেন না।"
রবিবার, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কাঁথিতে অধিকাকারীদের বাড়িতে হাজির হন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বলেন, "যাঁদের হাত ধরে বাংলায় বাম শাসনকে উত্খাত করতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন শিশির অধিকারী। তাঁর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করা, বিজয়ার প্রণাম করা আমার কাছে সৌভাগ্যের।"
সুকান্তকে পাশে নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দুও। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে (এই) বাড়ি থেকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, এই বাড়িতেই ছিলেন উনি। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হয়। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ রাতে এই বাড়ির ছাদে ছিলেন। নন্দীগ্রাম না হলে দিদি থেকে দিদিমা হতেন উনি। কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এই বাড়িতে সিআইডি, পুলিশ পাঠিয়েছেন। সামনে-পিছনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন। ভাইপোর কোম্পানি রয়েছে, ওই ভাটাংশু আর যাদের দেখেন। এই বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করে আমার ৮৪ বছরের পিতৃদেব এবং ৭৫ বছরের মাতৃদেবী, যাঁরা নার্সের নজরদারিতে থাকেন, গত এক বছর ধরে তাঁদের বিব্রত করা হচ্ছে।"
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় অধিকারী বাড়িতে সুকান্ত
দুর্নীতি এবং বেনামী সম্পত্তি সংক্রান্ত অভিযোগে প্রায় ১০ ঘণ্টারও বেশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। দুর্নীতি এবং বেনামী সম্পত্তি সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, "আমি তো বলেইছি, সুদ, আসল এবং দণ্ডসুদ-সহ সব কিছু ফেরত পাবেন।" সেই প্রেক্ষিতেই অধিকারী পরিবারকে তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল। এমনকি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দুর বাড়িতে এতদিন পর সুকান্তর পদার্পণ নিয়েও প্রশ্ন উস্কে দেন তিনি। তাঁর কথায়, "এতেই প্রমাণ হচ্ছে, শিশির-শুভেন্দু সব দলবদলু। এতদি দেখাই হয়নি তাঁদের মধ্যে। সুকান্ত এতদিন বিজেপি করে এখন লোক চিনছেন। তৎকাল বিজেপি হওয়াদের সঙ্গে দেখা করছেন গিয়ে।"