TMC MLA Comment: নেপথ্যে সিপিএম, বিজেপি? চাকরিহারাদের আন্দোলন নিয়ে TMC বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক
West Midnapore News: চাকরি হারিয়ে আতান্তরে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী। চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে পুলিশের লাথি-লাঠি খেয়েছেন চাকরিহারারা।

অমিত জানা, নারায়ণগড়: চাকরিহারা শিক্ষকদের চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে জুটেছে পুলিশের লাথি। চাকরি ফেরত চেয়ে অনশনে বসেছে চাকরিহারাদের একাংশ। এই আবহে তাদের আন্দোলনের নেপথ্যে সিপিএম, বিজেপি ও মাওবাদীদের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক: চাকরি হারিয়ে আতান্তরে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী। চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে পুলিশের লাথি-লাঠি খেয়েছেন চাকরিহারারা। তারপরও চাকরিহারাদের দিকেই দায় ঠেলেছে পুলিশ। এই আবহে চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের নেপথ্যে বিজেপি, সিপিএম ও মাওবাদীরা রয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA Comment)। চাকরি বাতিল ইস্য়ুতে শুরু থেকেই সিপিএম ও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এবার সেই সুরই শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের গলায়। সূর্যকান্ত অট্ট বলেন, "DI তো চাকরি দেওয়ার লোক নয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ডিপ্রাইভড পার্সনদের (বঞ্চিত) নিয়ে সম্মিলিত সভা করে তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্যে দিয়ে তাঁদেরকে যখন একটা কমিটমেন্ট করেন, অপেক্ষা না করে তাঁরা যদি রাজনৈতিক হিংসাতে রাস্তায় নামে তাহলে তাঁরা কারা? নিজের চাকরি পাওয়াটা যতটা না নিজের কাছে গুরুত্ব তাঁরা বাংলাকে অস্থির করা, বাংলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলাকে ভেঙে দেওয়া, তাঁদেরই চক্রান্ত। তাঁদের পিছনে বিজেপি ও মাও, সিপিএম।''
তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে সিপিএম-বিজেপিও। সিপিএমের বেলদা এরিয়া কমিটির সম্পাদক দিলীপ কুমার নন্দ বলেন, "সারের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যখন শিলা দত্ত চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন প্রশ্ন করেছিলেন তাঁকে মাওবাদী আখ্যা দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিলেন পুলিশকে। তানিয়া ভরদ্বাজকে ও মাওবাদী আখ্যা দিয়েছিলেন। চাকরিহারাদের প্রতি তাঁদের দলের বিধায়কের তাঁর এই উক্তি হবেই। যাঁরা একসময় মাওবাদী করতেন শ্রীকান্ত মাহাতো, ছত্রধর মাহাতো, সুচিত্রা মাহাতো তাঁরাই এখন তৃণমূলে নেতা।''
বিজেপি জেলা প্রেসিডেন্ট সমিত মণ্ডল বলেন, "চাকরি চুরি করে টাকা কামিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। কোর্টে গিয়ে সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে। তাঁরাই আবার বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে যাতে তাঁদের টাকাটা না দিতে হয় আমরা আপনাদের পক্ষে আছি, ব্যবস্থা করছি। এটা কোর্টের উপর দোষ দেওয়ার চক্রান্ত। চুরি করেছে ওরা, টাকা কামিয়েছে ওরা, এটা যদি প্রকাশ্যে এসে যায় চাকরিপ্রার্থীরা যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছে, তাঁরা যদি মুখ খুলে ফেলে তবে তাঁদের তো শ্রীঘরে যেতে হবে। সেখান থেকে বাঁচার জন্য এসব কাজ করছেন। তৃণমূল চক্রান্ত করে এসব কাজ করছে এটা তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ জেনে গেছে তাঁদের কাছে আর বলার কিছু নেই। তাই কথায় কথায় বিজেপির বিরুদ্ধে বলছে এদের কিছু কাজ নেই এদের বিশ্বাস করবে না কেউ।''
বৃহস্পতিবার মহানগরে মহামিছিলের পর, শুক্রবার, SSC ভবন অভিযান করলেন চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষককর্মীরা। সেই মিছিলে এসএসসি থেকে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন চাকরিহারারা। সল্টলেক করুণাময়ী থেকে শুরু হয় চাকরিহারাদের মিছিল। যে OMR নিয়ে এত বিতর্ক, কেউ কেউ সেই মূল্য়বান ওএমআর নিয়েই হাজির হন প্রতিবাদ মিছিলে। চাকরিহারাদের চাকরি ফেরতের এই সংগ্রামে সামিল হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ থেকে অভয়া মঞ্চের প্রতিনিধিরা। বুধবার কসবায়, চাকরিহারাদের পুলিশের লাথি মারার ছবি ঘিরে এখন তোলপাড় চলছে। শুক্রবার সকালে ssc ভবন অভিযানের সময়, পুলিশের দিকে গোলাপ ফুল এগিয়ে দেন চাকরিহারারা। SSC অফিসের বাইরে ২৪ ঘণ্টা মেডিক্য়াল ক্য়াম্প করার কথা ভাবছে জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টর্স।
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন চাকরিপ্রার্থীরা। যার শেষে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা শোনা গেল ব্রাত্য় বসুর গলায়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "যেটা ওঁরা দাবি করেছেন, যোগ্য এবং অযোগ্য এর তালিকা এসএসসি যেন প্রকাশ করে। ওঁরা দাবি করছেন, সেই তালিকা এসএসসি যেন তাঁদের ওয়েবসাইটে তুলে দেয়। আমাদের তাতেও আপত্তি নেই। কোনও অসুবিধা নেই। আমি এসএসসি-কে জিজ্ঞাসা করেছি। এসএসসি-র চেয়ারম্যানও এখানে আছেন। এসএসসির-ও কোনও অসুবিধা নেই। সিবিআই থেকে প্রাপ্ত তালিকা, যোগ্য-অযোগ্য যেটা তাদের হাতে আছে, তাঁরা তুলে দিতে পারেন। সেখানে কোনও সমস্যা নেই, যদি আইনি পরামর্শ আমরা ইতিবাচক পাই।''
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
