East Midnapore: তারকা বিধায়কের মানবিক মুখ! সড়ক দুর্ঘটনায় জখমকে গাড়িতে তুলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন সোহম
Soham Chakraborty Saves Injured: একদিকে অভিনয় জীবনের তীব্র ব্যস্ততা,পাশাপাশি বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম! সব সময়ই তুমুল চাপে থাকেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। কিন্তু কর্মব্যস্ততা যে মানবিকতার পথ আটকাতে পারে না, তা প্রমাণ করলেন তিনি।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: একদিকে অভিনয় জীবনের তীব্র ব্যস্ততা,পাশাপাশি বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম! সব সময়ই তুমুল চাপে থাকেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। কিন্তু কর্মব্যস্ততা যে মানবিকতার পথ আটকে দাঁড়াতে পারে না, তা প্রমাণ করলেন বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে।
কী হয়েছিল?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ নিজের বিধানসভা এলাকা চণ্ডীপুর থেকে কলকাতার দিকে ফিরছিলেন তৃণমূলের এই অভিনেতা-বিধায়ক। সেই সময়ই হলদিয়া-মেচেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কুমারগঞ্জ এলাকায় এক ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কিন্তু তাঁকে ওই অবস্থায় ছেড়ে চলে আসতে পারেননি সোহম। চিকিৎসার জন্য নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে আসেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। পরে জানা যায়, জখম ব্যক্তির নাম আশিস মাইতি। বয়স ষাটের কাছাকাছি। আশিস তমলুক থানার নাইকুড়ি এলাকার বাসিন্দা। পেশায় পানের ব্যবসায়ী ওই প্রবীণ এদিন সন্ধে নাগাদই নিমতৌড়ির পান আড়ত থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুমারগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। আপাতত ওই ব্যক্তি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপৎকালীন বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে আশিসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেই কলকাতার দিকে রওনা দেন তৃণমূলের অভিনেতা-বিধায়ক। তাঁর এদিনের তৎপরতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে।
তৎপর সোহম...
গত মে মাসে নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে নতুন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। ‘টক টু মেয়র-এর আদলে চালু করেছিলেন ‘দরবারে বিধায়ক’। নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে এবং সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি, জানান সোহম। থিম সঙের মাধ্যমে একটি ফোন নম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয় এই কর্মসূচিতে। বলা হয়, বিধায়ককে সরাসরি যেন যাবতীয় সমস্যার কথা ওই ফোন নম্বরেই জানান চণ্ডীপুরের সাধারণ মানুষ। উদ্যোগটি নিয়ে কটাক্ষ হানে বিজেপি।
তবে আজ সোহমের তৎপরতায় অভিভূত অনেকে। শহর কলকাতা থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে যখন অসুস্থ বা জখম মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর প্রবণতা আপাত ভাবে কিছুটা কমছে বলে অনেকের ধারণা, সেখানে তৃণমূলের তারকা-বিধায়কের মানবিকতা মন ছুঁয়ে গিয়েছে বাংলার।
আরও পড়ুন:মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রত্যাগ, সস্ত্রীক আত্মসমর্পণ KLO নেতা কৈলাসের