(Source: Poll of Polls)
Tripura TMC News : 'গাড়ি ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ! ট্যাক্সিও অমিল' ত্রিপুরায় এয়ারপোর্টেই আটকে কুণাল-সায়নীরা! কী হল শেষমেষ?
আগরতলা এয়ারপোর্টে পুলিশের সঙ্গে দৃশ্যত তর্কাতর্কি বেঁধে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। তাঁরা জানান, আগে থেকে প্রশাসনকে জানিয়েই তাঁরা ত্রিপুরা এসেছেন।

পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়ক। আর ঠিক তারপরই প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় পাল্টা তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরায় বিজেপি বিধায়ক দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজ করিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত রাজনীতি! এরই মধ্যে আগরতলায় পৌঁছয় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সেখানে পৌঁছে আবার এক নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের এয়ারপোর্টের বাইরেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না , দাবি করেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। তখন তাঁরা বসে পড়েন এয়ারপোর্টের বাইরের মাটিতেই।
আগরতলা এয়ারপোর্টে পুলিশের সঙ্গে দৃশ্যত তর্কাতর্কি বেঁধে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। তাঁরা জানান, আগে থেকে প্রশাসনকে জানিয়েই তাঁরা ত্রিপুরা এসেছেন। আর পুলিশ জানায়, তাঁদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই ছিল না। এদিকে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের নিতে যে চারটি গাড়ি এসেছিল, তার তিনটিকেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ত্রিপুরার পুলিশ। রয়েছে একটি গাড়ি। একটি গাড়িতে তো এতজনের যাওয়া সম্ভব নয়। কুণাল ঘোষ জানান, তাঁরা প্রি-পেড ট্যাক্সি ভাড়া করতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু পুরো এয়ারপোর্টে তৃণমূলের লোকেদের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও ট্যাক্সিই নেই ! এরপর তাঁরা ফের অনুরোধ করেন গাড়ি আসতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এমনই অচলাবস্থা চলতে থাকে। তখন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বলে, মাত্র ১টি গাড়ি পেলে, মালপত্র গাড়িতে রেখে, সবাই মিলে হাঁটব। তবে কুণাল ঘোষ জানান, পুলিশ জানিয়েছে গাড়ি রওনা হয়ে গিয়েছে, আসছে, রাস্তায় গাড়ি আটকানো হবে না।
শেষমেষ পুলিশের উ্দ্যোগে আগরতলা বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের জন্য ২ টি গাড়ির ব্যবস্থা করে পুলিশ। তারপর কনভয় করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয় কুণাল , সায়নী, সুস্মিতাদের।
তৃণমূলের এই দলে রয়েছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ, রাজ্যের বনমন্ত্রী ও ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। তাঁরা পৌঁছনোর আগেই নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় আগরতলা বিমানবন্দর। তারপর ১২ টার সময় আগরতলায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা পৌঁছলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিন ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেন, 'ত্রিপুরায় আমাদের টিমকে আটকানো হয়েছে'
'ত্রিপুরায় আমাদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আগরতলায় আমাদের টিমকে প্রিপেড ট্যাক্সিও দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আমি হেঁটে যাওয়ার নির্দেশ দিই। ' তিনি মনে করিয়ে দেন, অতীতে ত্রিপুরাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতেও হামলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে বাংলার আঁচে তপ্ত ত্রিপুরা।























