Kolkata News: ২১ জুলাই TMC-র সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন কলকাতায়, বাড়ি ফেরা হল না..
TMC worker Dead Body Rescue: ২১ জুলাই গিয়েছিলেন কলকাতায় , রহস্যমৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, দেহ উদ্ধার বকখালিতে..
গৌতম মণ্ডল, সনৎ ঝা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২১ এর তৃণমূলের জনসভায় যোগ দেওয়ার লক্ষ্যেই কলকাতায় গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি বাড়ি আর ফেরা হল না। রবিবার দুপুর নাগাদ বকখালি থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ গোটা ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলছেন পরিজনরা।
মৃত বাবার নিথর দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে কলকাতার দিকে রওনা হয়েছেন মৃত তৃণমূল কর্মী রঞ্জিত মন্ডলের ছোট ছেলে শুভম মণ্ডল এদিকে,স্বামীর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন স্ত্রী, পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রঞ্জিত মণ্ডল পেশায় মেকানিক।তিনি পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। সেখানে প্রথম পক্ষের স্ত্রী সন্তান থাকেন।
অন্যদিকে,শহীদ কলোনীতেও তার দ্বিতীয় সংসার রয়েছে বলেই খবর।পরিবার সূত্রে খবর,মৃত ওই তৃণমূল কর্মী বছর পাঁচেক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২৩ সালে প্রথমবার ধর্মতলায় আয়োজিত শহিদ দিবসের বিশেষ সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।এবারও সেই লক্ষ্যেই ১৯ তারিখ কলকাতা পৌঁছন। তার সঙ্গে জনা দশেক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। রবিবার তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যাতে দেখা যায় মাঝ সুমুদ্রে একটি বোটে তাঁকে ভাসতে।
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে,বকখালিতে সমুদ্রে তলিয়ে রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর জানতে পেরেই রবিবার বিকেল নাগাদ মৃতের ছোট ছেলে কলকাতার দিকে রওনা হন। সোমবার বিকেল নাগাদ রঞ্জিতের নিথর দেহ বাড়ি ফেরার কথা রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল। তাঁদের অভিযোগ, পুরোনো বিবাদের জেরেই খুন হতে পারেন মৃত রঞ্জিত মণ্ডল। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন, ছাত্রমৃত্যুর জন্য দায়ী কে ? বাংলাদেশ থেকে ফিরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার পবিত্র সরকারের
লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা উপনির্বাচনে বিপুল জয়ের পরও, এবারের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাষণে বিরোধীদের আক্রমণের চেয়েও, দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাই বেশি করে উঠে এল। গতকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, 'যেখানে যেখানে আমরা জিতিনি, সেখানকার মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন। আমি সব পুরসভা, পঞ্চায়েত, সাংসদ, বিধায়ক, সকলকে বলব, এখন থেকে কোনও অভিযোগ, যেন কারও বিরুদ্ধে দল না পায়। যদি কোনও অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে পায়, আমরা কিন্তু উপযুক্ত অ্যাকশন নেব, এটা মাথায় রাখবেন।' আর, এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।