TMC Leader Murder: একই দিনে জোড়া হত্যাকাণ্ড, কয়েকমাসে কেন বারবার নিশানায় তৃণমূল নেতারা?
একই দিনে পরপর তিন তৃণমূল নেতা খুন। নদিয়ার হাঁসখালি আর কোচবিহারের শীতলকুচিতে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড।
একই দিনে জোড়া হত্যাকাণ্ড, গত কয়েকমাসে বারবার আক্রমণের নিশানায় তৃণমূল নেতারা (TMC Leader)। শুক্রবার সাতসকালে কোচবিহার (Coochbehar) ও নদিয়া (Nadia), একই দিনে ২ জেলায় ভয়ঙ্কর ২ হত্য়াকাণ্ড।
- গত সাড়ে তিন মাসে, একাধিক তৃণমূল নেতার ওপর হামলা
- গত ৩০ মার্চ, চোপড়ায় তৃণমূলের গুলিতেই খুন হন ২ তৃণমূল কর্মী
- গত ২৯ মার্চ, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল কর্মী গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুন
- গত ২৪শে জানুয়ারি, মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করে খুন
- গত ৪ জানুয়ারি, মালদার মোথাবাড়িতে, ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
একই দিনে পরপর তিন তৃণমূল নেতা খুন। নদিয়ার হাঁসখালি আর কোচবিহারের শীতলকুচিতে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। শীতলকুচিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে কুপিয়ে খুন। বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দম্পতির আরেক মেয়ে। শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য়, নীলিমা বর্মনের বাড়িতে হামলা। হামলার ঘটনায় চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা দুষ্কৃতীদের একজনকে ধরেও ফেলে তারা। ঘটনায় সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩ জন আটক হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে হামলা, নাকি নেপথ্য়ে ব্য়ক্তিগত শত্রুতা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এই ঘটনার প্রতিবাদে শীতলকুচিতে শুরু হয়েছে পথ অবরোধ।
কোচবিহারের পর নদিয়া ! ফের খুন তৃণমূল নেতা! নদিয়ার হাঁসখালিতে ভরা বাজারে পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হল, তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতিকে। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাস। আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে ৫ জনের দষকৃতী দল। প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু তাঁকে ধাওয়া করে, সামনে গিয়ে, এলোপাথাড়ি গুলি চালায় মুখ ঢাকা দুষকৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তৃণমূল নেতার । এদিকে ঘটনার পরই আতঙ্কে বাজার ছেড়ে পালাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। চম্পট দেয় দুষকৃতীরাও । তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক কারণে গুলি, নাকি ব্য়ক্তিগত শত্রুতা, তা খতিয়ে দেখছে হাঁসখালি থানা ।