Rajbhawan: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস সিল করার নির্দেশ রাজভবনের

University of Gour Banga: আচার্য-শিক্ষামন্ত্রী সংঘাতের আবহেই, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেম্বার সিল করে দেওয়ার নির্দেশ

ফাইল ছবি

কলকাতা: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Gour Banga) উপাচার্য রজত কিশোর দে-র অফিস সিল করতে বলল রাজভবন। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল অপসারণের নির্দেশ দিলেও পরে রাজ্যের নির্দেশে ফের সেই পদেই বহাল উপাচার্য। পদ থেকে অপসারণের কারণ দেখিয়ে অফিস সিল করার নির্দেশ দিল রাজভবন। 

অফিস সিল করতে বলল রাজভবন: আচার্য-শিক্ষামন্ত্রী সংঘাতের আবহেই, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেম্বার সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজভবন। ৩০ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল প্রার্থীদের উপস্থিতিতে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে, তৃণমূল পন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলনের পর, অন্তর্বর্তী উপাচার্য রজতকিশোর দে কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন রাজ্যপাল। যদিও, রাজভবনের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে, রাজ্যপালের সরিয়ে দেওয়া অন্তর্বর্তী উপাচার্যকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। এই আবহে এবার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাসকে চিঠি পাঠিয়ে, উপাচার্যের চেম্বার সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজভবন। তবে এবিষয়ে রেজিস্ট্রার স্পষ্টই জানিয়েছেন, "উচ্চশিক্ষা দফতর, শিক্ষামন্ত্রী জানাব। যা নির্দেশ আসবে তাই করব।''

এদিকে লোকসভা ভোটের আবহে আরও তীব্র চেহারা নিল সংঘাত। বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিতে দুর্নীতি,সন্ত্রাস এবং নির্বাচনী প্রচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপব্যবহার,মূলত এই তিনটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ হচ্ছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। রাজনৈতিক উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি সত্যটা জানতে চাই। তাই আমি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। রিপোর্ট এলে, আমি বুঝতে পারব অভিযোগ সত্য, না অসত্য।’’

পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "যদি কোনও রিপোর্ট থাকে, নির্দিষ্ট করে ওঁর বলা উচিত। কোন বিশ্ববিদ্য়ালয়? কোথায় হয়েছে? বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কোন অভ্য়ন্তরে? কারা করেছেন, ফিনান্স অফিসার করেছেন? না রেজিস্ট্রার করেছেন? কেয়ারটেকার উপাচার্য নিজে করেছেন? এটা ওঁর পরিষ্কার করে বলা উচিত, যে, এই দুর্নীতিতে কে যুক্ত? এই দুর্নীতির অংশ কারা? এই দুর্নীতি ওদের যারা ওপরওয়ালা তাদের নির্দেশেই কি দুর্নীতি করা হচ্ছে? এটাও আমার জানতে ইচ্ছা করছে।''

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।