TMC News: দলের প্যাডে চিঠি লিখে কারখানার মালিকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ! ভাইরাল চিঠি ঘিরে তরজা
Trinamool Congress Viral News: সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল তৃণমূলের প্যাডে টাকা চাওয়ার একটি পুরনো চিঠি। ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: তৃণমূল কংগ্রেসের প্যাডে লিখে টাকা চাইলেন ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান? পুরনো চিঠি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল! শুরু রাজনৈতিক তরজা।
সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল তৃণমূলের প্যাডে টাকা চাওয়ার একটি পুরনো চিঠি। রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খানের দাবি এটা বিরোধীরা করেনি দলের লোকেরই কাজ। ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এই চিঠি। রিষড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের লেটার প্যাডে লেখা রিষড়ার একটি টেক্সটাইল কারখানার ভাইস প্রেসিডেন্টকে। ঈদ উপলক্ষে জন্য দশ হাজার টাকা চাওয়া হয় কাপড় কেনার জন্য। চিঠির নিচে রিষড়ার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খানের সই ও স্টাম্প দেওয়া। আর এই চিঠি নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জাহিদ হাসান খান বলেন, 'আমি দলের কোন প্যাড ব্যবহার করি না, কোনও ডোনেশনও তুলি না। নিজের যা ক্ষমতা সেটা দিয়েই করি। এক কাউন্সিলর লোকসভা ভোটে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ওয়ার্ড থেকে হারানোর চেষ্টা করেছে। বিজেপি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। ওই ওয়ার্ডের দায়িত্ব আমার ছিল। আমি সেখান থেকে লিড দিয়েছি। দলের লোক কিন্তু বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে মিশে রিষড়া তৃণমূলের ক্ষতি করছে। এসব ভুয়ো লেটার প্যাড। ওই কাউন্সিলর আমার বিরোধী এটা সবাই জানে। দলে ওর কোনও জায়গা নেই। তাই এসব করে আমার প্রচারে আসতে চায়।'
আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলী চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তার সঙ্গে জাহিদ হাসান খানের বিরোধ সর্বজনবিদিত। নাম না করে জাহিদ হাসান সাকির আলির দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
সাকির এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা দলীয় তদন্তের বিষয়। কে কোথায় কারখানায় প্যাড পাঠিয়েছে এটা আমি জানিনা।এটা দলের তদন্তের বিষয়। দল যদি সঠিক তদন্ত করে দলের প্যাড কেন ব্যবহার করা হয়েছে সেটা নিশ্চয়ই ধরা পড়বে। আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।'
বিজেপির রাজ্য অফিস সম্পাদক প্রণয় রায় বলেন, যে চিঠি ভাইরাল হয়েছে সেটা আমার নজরেও পড়েছে। তৃণমূল সরকারি পদ সরকারি স্টাম্প ব্যবহার করে তোলাবাজি করছে। ভাইস চেয়ারম্যান যদি লেটার হেডে লিখে তার স্ট্যাম্প দিয়ে কারখানার কাছে টাকা চায় তার কাছে আর কোন বিকল্প থাকে না মালিকের কাছে। এটা তৃণমূলের সরকারি তোলাবাজি।
তৃণমূল শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, 'জাহিদ হাসান খান গত ত্রিশ বছরের কাউন্সিলর।তাকে বদনাম করে দলকে বদনাম করার এটা বিজেপির চক্রান্ত।ওরা ভোটে জিততে পারছে না, জেতা সে তো হেরেছে। তাই যেন তেনো প্রকারে বদনাম করার জন্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে'।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে