WB Assembly: গোর্খা জনজাতিদের সম্পর্কে শোভনদেবের মন্তব্যের জের, হট্টগোল বিধানসভায়
Sovondeb Chatterjee: বিজেপির অভিযোগ, গোর্খা-জনজাতিদের বহিরাগত ও অনুপ্রবেশকারী বলে অপমান করেছেন মন্ত্রী। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: গোর্খা জনজাতিদের সম্পর্কে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovondeb Chatterjee) মন্তব্য ঘিরে হট্টগোল বিধানসভায়। বিজেপির অভিযোগ, গোর্খা-জনজাতিদের বহিরাগত ও অনুপ্রবেশকারী বলে অপমান করেছেন মন্ত্রী। অবিলম্বে মন্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিধানসভার (WB Assembly) অধিবেশন কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
কী নিয়ে বিতর্ক?
গত কাল বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব যখন পেশ হয়েছিল, তখন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গেই গোর্খা জনজাতি ও আদিবাসীদের কথা এসেছিল। আজ প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষ দিকে সেই নিয়েই বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় গোর্খা জনজাতি ও আদিবাসীদের অপমান করেছেন। সেই অপমানজনক শব্দ প্রত্যাহার করতে হবে। বিজেপি বিধায়কদের আরও দাবি, রাজ্য়ের পরিষদীয় মন্ত্রী গোর্খা জনজাতিভুক্তদের 'বহিরাগত' ও 'অনুপ্রবেশকারী'বলেছেন। এই দাবি থেকে সরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। এই নিয়েই অধিবেশন থেকে বেরিয়ে এসে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্য, 'পরিষদীয় মন্ত্রী অন রেকর্ড বলেছেন, আদিবাসীর আসলে বাইরে থেকে বসবাস করছেন। এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের মানু। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন তাঁরা বহিরাগত। এই শব্দ প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।' শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের আবার মত, 'কোন ইতিহাসের পাতায় উনি এই তথ্য পেয়েছেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি। আমরা মনে করি ভারতে বসবাসকারী গোর্খাদের ও রাজ্য়ের আদিবাসী ভাইবোনেদের এই শব্দের মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে।'
শোভনদেবের প্রতিক্রিয়া...
গোটা ঘটনায় বিজেপির হইচই নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বক্তব্য রেখেছিলেন। আজ বিজেপি যা বলছে তার সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের কোনও সাযুজ্য নেই দাবি শোভনদেবের। প্রসঙ্গত, হালেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত করার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছিলেন মতুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রীর ভুল উচ্চারণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান মতুয়ার সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। কেষ্টপুরে ভিআইপি রোডে বিক্ষোভ হয়েছিল তাঁদের যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। হাবড়াতেও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠিও পাঠায় ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল কাস্টস্। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ।
এবার বিক্ষোভের কেন্দ্রে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:জেলবন্দি সিপিএম নেতার বাড়ির পাশ থেকে বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য মাড়গ্রামে






















