Jagdeep Dhankhar Update: বিধানসভা ডাকা, স্থগিতের অধিকার নেই রাজ্যপালের, ধনকড়ের সমালোচনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি
Jagdeep Dhankhar Update: তাঁর দাবি, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সুপারিশ শুধু অনুমোদন করতে পারেন রাজ্যপাল। তাই বাংলার ক্ষেত্রে ধনকড় যা করেছেন, তা একেবারেই উচিত হয়নি বলে মন্তব্য় করলেন অশোকবাবু।
কলকাতা: বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অন্য মাত্রা পেয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করেই তিনি বিধানসভার অধিবেশন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। কিন্তু তাঁর এই দাবি খারিজ করলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সুপারিশ শুধু অনুমোদন করতে পারেন রাজ্যপাল। তাই বাংলার ক্ষেত্রে ধনকড় যা করেছেন, তা একেবারেই উচিত হয়নি বলে মন্তব্য় করলেন অশোকবাবু।
গোটা ঘটনায় রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে নতুন করে সংঘাত মাথাচাড়া দিয়েছে। সেই নিয়ে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশোকবাবু বলেন, "অরুণাচল বিধানসভা মামলায় রায় দিতে গিয়েই বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।সংবিধানের ১৭৪ ধারার উল্লেখ করে বলা হয়, রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকা, স্থগিত রাখা এবং সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারেন না রাজ্যপাল। রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে সুপারিশ এলে তিনি তাতে অনুমোদন দিতে পারেন মাত্র। সব রাজ্যেই এই নিয়ম কার্যকর।"
অশোকবাবু আরও বলেন, "কোনও কারণে রাজ্যসভায় কোনও দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে, সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাজ্যপাল। কিন্তু বাংলায় তো তেমন পরিস্থিতি নেই! তাই আমার মনে হয়, এই কাজ করা তাঁর ঠিক হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকেই বলছি, এটা ঠিক হয়নি।"
WB Guv: in view of inappropriate reporting in a section of media it is indicated that taking note of govt recommendation seeking proroguing of assembly, Guv in exercise of the powers conferred upon him by article 174 (2)(a) the Constitution has prorogued WBLA w.e.f. Feb 12,2022.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 12, 2022
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar News: রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ‘স্থগিত’ করলেন রাজ্যপাল
রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার সুপারিশেই অধিবেশন সমাপ্তির অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তিনি যে টুইট করবেন, অধিকার জাহির করবেন, তা সকলের কাছেই অকল্পনীয় ছিল। ধনকড় সাংবিধানিক রীতি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেন পার্থ।