WB Municipal Elections: করোনা আবহে পুরভোটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন বামেদের, চিঠি কমিশনকে, ভোট স্থগিতের পক্ষে বিজেপি-ও
WB Municipal Elections: বামেরা জানান, পুরভোট করানো নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া উচিত। সর্বদল বৈঠকও ডাকা উচিত কমিশনের, যাকে সব পক্ষ নিজের মতামত রাখতে পারে।
আসন্ন ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভা কেন্দ্র বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়িতে নির্বাচন। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কমিশন কড়া বিধিনিষেধ বেঁধে দিলেও, ভূরি ভূরি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ সামনে আসছে। তা নিয়েই বৃহস্পতিবার কমিশনকে চিঠি দেন বাম নেতৃত্ব। কোভিড আবহে আদৌ নিরাপদে ভৌট করানো সম্ভব কি না, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
এ দিন কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে বামেরা জানান, পুরভোট করানো নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া উচিত। সর্বদল বৈঠকও ডাকা উচিত কমিশনের, যাকে সব পক্ষ নিজের মতামত রাখতে পারে। ভোটের প্রচারে, মনোনয়নপত্র দেওয়া ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট করানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, খোলামাঠে সভার ক্ষেত্রে জন সমাবেশ ৫০০ থেকে ২০০-য় নামিয়ে আনার চিন্তা করছে কমিশন। কিন্তু এত সংখ্যক মানুষের জমায়েত হলে বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বামেরা।
এ নিয়ে কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে যেমন হাই কোর্টের রায়ের উপর নির্ভর করছি আমরা, তেমনই পুরভোট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। রাজ্য নিজের অবস্থান পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’
এত দিন ভোটের দাবিতে সরব থাকলেও, করোনা পরিস্থিতিতে চার পুরসভায় ভোট করানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি-ও। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনা কালে রাজ্য সরকাররে সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার পক্ষে আমরা। কখনও অতিমারি নিয়ে রাজনীতি করেনি বিজেপি।বরং তৃণমূলই তা করে চলেছে। তারা রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। তাই করোনা কালে ত্রাণ দিতে গেলেও, পুলিশ বিজেপি-কে আটকে দেয়। এবং পরে তৃণমূলই প্রশ্ন তোলে, করোনা কালে কোথায় ছিল বিজেপি। এ সবের পরেও, রাজ্য পুরভোট নিয়ে সদর্থক বার্তা দিলে, বিজেপি পিছু হটবে না।’’
উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরভোট স্থগিত রাখার আর্জি নিয়ে ইতিমধ্যেই হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা জমা পড়েছে। শুক্রবার ফের তার শুনানি রয়েছে।