Gangasagar: নিম্নচাপ-কোটালের জোড়া ফলায় গঙ্গাসাগরে ধস, সমুদ্র তলিয়ে গেল কপিলমুনি মন্দিরের সমুদ্রতট!
Gangasagar Kapilmuni Ashram: এদিকে এমত পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত সাগরের ব্যবসায়ী থেকে পুণ্যার্থীরা
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। সঙ্গে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। এর মধ্যেই দুই জেলায় জোড়া বিপর্যয়। পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ভয়াবহ ধসের মুখে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সমুদ্রতট।
আজ সকালে জলোচ্ছ্বাসের জেরে সাগরতটের ১ নম্বর থেকে ৫ নং স্নানঘাট পর্যন্ত পূর্ত দফতরের তৈরী কংক্রিটের রাস্তা পুরোপুরি ধস নিয়ে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে। সকাল থেকেই দ্রুত ভাঙছে সাগরতট। সমুদ্রতটে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ, অস্থায়ী দোকান তলিয়ে গিয়েছে। দোকানদারদের দ্রুত সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে এমত পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত সাগরের ব্যবসায়ী থেকে পুণ্যার্থীরা। ইতিমধ্যে সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ থেকে ৫ নং স্নানঘাট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও পুণ্যার্থীকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ভাঙনের জেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা। সরকারি অবহেলায় এই ভাঙন রোখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপের চোখ রাঙানি? সপ্তাহের শুরুর দিনে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কোন কোন জেলায়?
তবে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা হরিপদ মণ্ডল জানিয়েছেন, অতীতে তিনটি মন্দির সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গেছে। যেভাবে ভাঙন হচ্ছে আগামী দু- বছরের মধ্যে এই মন্দিরটিও তলিয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করলে এই ভাঙন রোখা সম্ভব নয়, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, আগামী দু'দিন ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা আছে সুন্দরবন জুড়ে। নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত সুন্দরবনজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে আরও ভাঙনের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। পূর্ব মেদিনীপুরে শঙ্করপুর মোহনার কাছে ভেঙে তলিয়ে গেল মাছ ধরার নৌকা। তবে কোনওমতে রক্ষা পেয়েছেন মৎস্যজীবীরা। ড্রেজিং না হওয়ায় চড়ায় ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছে মৎস্যজীবী সংগঠন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে