West Bardhaman News: জল ছাড়ার খবর শুনতেই উপচে পড়ল ভিড় ! জল যন্ত্রণার মাঝেই ব্যতিক্রমী ছবি দুর্গাপুর ব্যারেজে
Durgapur Barrage Water Release Locals Gathered: ভারী বৃষ্টিতে জল জমে ভোগান্তির মুখে জেলার বাসিন্দারা, জল যন্ত্রণার মাঝেই ব্যাতিক্রমী ছবি দুর্গাপুর ব্যারেজে..
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ভারী বৃষ্টিতে জল জমে ভোগান্তির মুখে জেলার বাসিন্দারা। অনেকেই রয়েছেন উদ্বেগের মুখে। জেলায় জেলায় যোগাযোগের রাস্তার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। এহেন পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার খবর শুনে, ব্যারেজ এর জল ছাড়া দেখতে উপচে পড়ল মানুষের ভিড় !
একদিকে বাঁকুড়া, অপরদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর- দুই জেলার মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এবং সদা ব্যস্ত এই রাস্তা। দুর্গাপুর ব্যারেজের ওপর সংযোগকারী রাস্তা, পথচলতি গাড়ি বা মোটরবাইক থেকেই হোক বা সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমের গাড়ি দেখেই হোক, জল ছাড়ার চিত্র চাক্ষুষ দেখতে ভিড় করছে জনতা। কেউ কেউ সেই ছবি মোবাইলে তুলে রাখার চেষ্টা করছেন। নিরাপত্তারক্ষী বা পুলিশ বিপদজ্জনক জায়গায় তাঁদের যেতে নিষেধ করছে। এমনিতেই দু দিনের জল যন্ত্রণায় মানুষের জেরবার অবস্থা। এর মধ্যেই একাংশের জল ছাড়া দেখতে আগ্রহ বাড়ছে !
উল্লেখ্য, অতি ভারী বৃষ্টিতে জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। ডিভিসির দুই জলধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। জল ছাড়া হয়েছে মাইথন জলাধার থেকে ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে। ৪৮০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ১২০০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৬০০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি, দাবি রাজ্যের। টানা বৃষ্টির মধ্যে জল ছাড়ল ডিভিসি, প্লাবনের আশঙ্কা রাজ্যের। রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, অভিযোগ নবান্নের। হাওড়া, হুগলি, খানাকুল, গোঘাট, আমতায় প্লাবনের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন, কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড তারকেশ্বরের এই এলাকা, ভেঙে পড়ল গাছ, নেমে এল অন্ধকার
ডিভিসি-র বিরুদ্ধে 'ম্যান মেড' বন্যার অভিযোগ কুণাল ঘোষের। এই ইস্যুতে সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'গ্রীষ্মে কৃষি সেচে জল চাইলে দেয় না। ঝাড়খণ্ডে বর্ষায় জল বাড়ে, তখনই জল ছেড়ে বিপদ বাড়ায়। ডিভিসি ফের বাংলাকে বিপদে ফেলছে',সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। যদিও অভিযোগ উড়িয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। কুণালের 'ম্যান মেড' বন্যার অভিযোগের পর, পাল্টা ঘুরিয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন শমীক। বলেছেন, ম্যান মেড ছাড়া এটা কী ? কোনও পরিকল্পনা নেই, মাটির বাঁধের কোনও সংষ্কার নেই। যে বাঁধ তৈরি করছে, দুর্নীতির কারণে সেই বাঁধের অবস্থা এতটাই খারাপ, যে মুহূর্তের মধ্যে একটা দুটি বর্ষায় বাঁধ ভেঙে যায় ! '
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।