John Barla Faces Agitation : চা শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বাড়ি ঘেরাও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের
TMC- BJP : যে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন জন বার্লা ও বিজেপি শিবির।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম সেন ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, আলিপুরদুয়ার : চা শ্রমিকদের (Tea Garden Workers) চার দফা দাবি নিয়ে আজ জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি সাংসদ জল বার্লার (John Barla) বাড়ি কার্যত ঘেরাও করে বিক্ষোভ অবস্থান করল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। যদিও এদিন বাড়িতে ছিলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে তিনি সব দায় চাপিয়েছেন রাজ্য সরকারের (West Bengal Goverment) ওপরে।
PF ইস্যুতে বিজেপিকে চেপে ধরার কৌশল তৃণমূলের
একদিকে যখন বকেয়া ডিএ-এ দাবিতে ফের পথে নেমে আন্দোলনের ঝড় তুলছেন রাজ্য় সরকারি কর্মচারীরা, তখন পাল্টা পিএফ (PF) ইস্য়ুতে বিজেপিকে চেপে ধরার কৌশল নিল তৃণমূল (TMC)। উত্তরবঙ্গের কর্মসংস্থানের অন্য়তম প্রধান মাধ্য়ম চা বাগান। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। আর এই প্রেক্ষাপটে চা শ্রমিকদের একাধিক দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC। যে প্রসঙ্গে জন বার্লা জানিয়েছেন, মালিকরা টাকা জমা দিচ্ছে না, রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গ্রেফতার করা দরকার।
ঠিক কী দাবি
জন বার্লা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। ডুয়ার্সের (Duars) লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে তাঁর বাড়ি। সকাল থেকে এই বাড়ি কার্যত ঘেরাও করে অবস্থানে বসে পড়েন জেলা INTTUC-র কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের দাবি-দাওয়া মূলত চারটি। গত কেন্দ্রীয় বাজেটে (Central Budget) চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১ হাজার কোটি টাকার খরচের হিসেব দিতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের অবিলম্বে পিএফ মেটানো। ৫৮ থেকে বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৬০ করা। চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ পুনরায় চালু করতে হবে।
PF বরাবরই শ্রমিকদের কাছে অন্তন্ত স্পর্শকাতর ইস্য়ু ! ভবিষ্য়তের ভরসা! আর সুকৌশলে এই ইস্য়ু সামনে এনেই কেন্দ্রের বিজেপিকে (BJP) চেপে ধরতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। সেই জন্যই কি জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ! রাজ্যের বিরোধী দল গোটা বিষয়টার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য সরকারকে। সবমিলিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই, চা বাগানের গরিব মানুষগুলোর দুর্দশা কি আদৌ কোনওদিন ঘুঁচবে ? পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ইস্যুটি অন্য কোনওদিকে মোড় নেয় কি না, সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন- কাঁথি জন্ম দিয়েছে শুভেন্দুর, তাঁর লড়াইয়ে আলোকিত গণতন্ত্র, কাঁথির সভায় বললেন শিশির