West Bengal BJP: বঙ্গ BJP-র ৩২ নেতানেত্রীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার, পরাজিত প্রার্থী থেকে নিষ্ক্রিয় নেতা, তালিকায় এঁরা...
Central Securities: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উঠল বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লার।

কলকাতা: বঙ্গ বিজেপি-র ৩২ নেতা-নেত্রীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল। পরাজিত প্রার্থী থেকে একাধিক নিষ্ক্রিয় নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার। একাধিক জেলা সভাপতির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উঠল বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লার। যদিও এ নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের মতে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিরাপত্তার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করে কেন্দ্র। এর ভিত্তিতেই ৩২ জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানার নেই বলেও দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। (West Bengal BJP)
৩২ জনের যে তালিকা সামনে এসেছে, তাতে নাম রয়েছে, তফসিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার, কোচবিহার জেলা বিজেপি-র অভিজিৎ বর্মন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস ববি, নদিয়ার জেলে সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, উলুবেড়িয়ার সাংসদ অরুণোদয় পালচৌধুরী, আরামবাগের সাংসদ অরূপকান্তি দিগর, জয়নগরের অশোক কাণ্ডারি, জগদীশপুরের অশোক পুরকাইত। (Central Securities)
নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের বাসুদেব সরকার, প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে, রাজ্যের বিজেপি-র সহ-আহ্বায়ক দেবব্রত বিশ্বাস, ডায়মন্ড হারবারের দেবাংশু পাণ্ডা, বীরভূমের দেবাশিস ধর, মুর্শিদাবাদের ধনঞ্জয় ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দীপক হালদার, জয়দীব ঘোষ, জীবেশচন্দ্র বিশ্বাস।
জন বার্লার পাশাপাশি, লোকনাথ চট্টোপাধ্য়ায়, নির্মল সাহা, নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়, পলাশ রানার নামও রয়েছে তালিকায়। নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে পিয়া সাহা, প্রণতি মাঝি, সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল, শঙ্কুদেব পণ্ডা, তন্ময় দাস, তমোঘ্ন ঘোষ, তাপস দাস, তারিণীকান্ত বর্মনের। এর মধ্যে জন বার্লার নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বেশি কিছু দিন ধরেই রাজ্য বিজেপি-তে বেসুরো বাজছেন তিনি। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভাতেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দলবদল নিয়ে পরিষ্কার কিছু না জানালেও, জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন জন।
যদিও এ নিয়ে বিশদে কিছু বলতে নারাজ জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর বক্তব্য, "স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিছু দিন অন্তর অন্তর সবদিক পর্যালোচনা করে দেখা হয়। কারও ঝুঁকি বাড়ে, কারও কমে। সেই নিরিখে কারও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়, কমানো হয় কারও। আমরা অন্তত পক্ষে, রাজ্যস্তরে বিষয়টি জানি না আমরা। আপনাদের কাছ থেকেই শুনলাম কারও কারও নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা জানি না, খোঁজ নেব। সম্পূর্ণ ভাবে এটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিষয়।" যাঁদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁরাও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনও পর্যন্ত।





















