West Bengal Business Summit 2022: শিল্পপতিদের যাতে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা বিব্রত না করে দেখবেন, রাজ্যপালকে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর
Bengal Global Business Summit : বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে চলছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।
কলকাতা : বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ( Bengal Global Business Summit ) বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধনকড়ের মুখে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা। সাম্প্রতিক থেকে সুদূর অতীতের দিকে নজর রাখলে, রাজ্য - রাজ্যপালের সংঘাতের খবরই উঠে এসেছে বারবার শিরোনামে। বিধানসভা চত্ত্বরে দাঁড়িয়েও রাজ্য নেতৃত্বকে কার্যত তুলোধনা করেছেন রাজ্যপাল। বারবার তাঁর মুখে উঠে এসেছে এ রাজ্যে ঘটে চলা নানা হিংসার ঘটনার কথা। রাজ্যপালকে গেরুয়া শিবিরের পৃষ্ঠপোষক বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদলও। মুখ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় রাজ্যপালের আক্রমণের জবাব দিয়েছেন কড়াভাবেই। তাই বাণিজ্য সম্মেলনে ধনকড়-মমতার এই সৌজন্যের ছবি স্বাভাবিক ভাবেই নজর কেড়েছে।
ভাষণের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এবার খুবই আনন্দিত, রাজ্যপাল এবার আমাদের বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে এসেছেন ও এত সুন্দর ভাষণ দিয়েছেন। এভাবেই আমাদের পাশে থাকুন।
বক্তব্যের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপালের মাধ্যমে আমি একটাই অনুরোধ রাখব। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবরকম সাহায্য চাই। আর শিল্পপতিদের যাতে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা বিব্রত না করে দেখবেন।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন -
- ‘আশা করব এভাবেই রাজ্যপাল আমাদের সবসময় পাশে থাকবেন, গৌতম আদানিকে প্রথমবার বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে আসার জন্য ধন্যবাদ’
- ‘করোনাকালে প্রথম রাজ্য হিসেবে বাণিজ্য সম্মেলন করেছে বাংলা। ‘প্রথম বাণিজ্য সম্মেলনে ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল’
- ‘৮ স্তম্ভের উপর রাজ্যের উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। পরিকাঠামো, স্কুল শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প, সামাজিক সুরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন।
- ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রায় ২ কোটি মহিলা মাসে ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন’
- ‘হেলথ কার্ডে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বিনামূল্যে’
- ‘আড়াই কোটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে’
- ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প ইউনেস্কো থেকে প্রশংসিত’
- ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে প্রকল্প আছে’
- ‘বাণিজ্য সহজ করতে এক জানলা নীতি নেওয়া হয়েছে’
- ‘রাজ্যে কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয় না’
- ‘বাম জমানায় প্রতিবছর ৭৫ লক্ষ কর্মদিবস নষ্ট হত’
- ‘রাজ্যের রাজস্ব আয় প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে’
- ‘করোনাকালেও রাজ্যের জিডিপি দেশের থেকে বেশি ছিল’
- আমরা মানুষের মধ্যে বিভেদ করি না। ৯৫ শতাংশ মানুষ সরকারি প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত’
- ‘রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা একসঙ্গে থাকি’
- ‘বাংলায় যে থাকে সেই আমাদের পরিবারের সদস্য’
- ‘আগামীদিনে কমপক্ষে দেড় কোটি কর্মসংস্থান হতে চলেছে বাংলায়’