WB By Election Result: বাংলা সবসময় মিথ্যা প্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির বদলে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে, ট্যুইট মমতার
Mamata Banerjee: ট্য়ুইট করে দলের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘চারজন জয়ী প্রার্থীকেই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই জয় মানুষের জয়।’
কলকাতা: রাজ্যে চারটি বিধানসভা আসনেই উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। গোসাবার প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে জিতলেন। দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী। রাজ্যের বাকি দুই কেন্দ্র খড়দা এবং শান্তিপুরেও জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা।
বিধানসভা উপনির্বাচনে চারে চার তৃণমূলের। এই ফলে উচ্ছ্বসিত হয়ে ট্য়ুইট করে দলের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘চারজন জয়ী প্রার্থীকেই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই জয় মানুষের জয়। এটা দেখিয়ে দিল, বাংলা সবসময় মিথ্যা প্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির বদলে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে। মানুষের আশীর্বাদে আমরা বাংলাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় জয়কার। বিজেপি-র হাতছাড়া হল কোচবিহারের দিনহাটা ও নদিয়ার শান্তিপুর। বিপুল ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা দখলে রাখল রাজ্যের শাসক দল। উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে জয়ের ফলে বিধানসভায় বাড়ল তৃণমূলের শক্তি।
২১’এর বিধানসভা ভোটে ২১৩টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। উপনির্বাচনে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর এই দুটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরেও রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক সংখ্যা একই ছিল। কারণ, ভোটের ফল ঘোষণার আগেই মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিন্হার। আর বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এদিন দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা ও গোসাবা এই চার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ায় বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হল ২১৭।
এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু, ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে বিজেপির বিধায়ক পদ কমে দাঁড়ায় ৭৫। এরপর তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় ও রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। খাতায় কলমে এঁরা এখনও বিজেপি বিধায়ক হলেও, দলত্যাগকে অঙ্কের হিসাবে ফেললে বলা যায়, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এখন ৭০।
অন্যদিকে, দলত্যাগী ও তৃণমূল সমর্থিত নির্দলকে ধরলে তৃণমূলের সঙ্গে থাকা বিধায়কের সংখ্যা এখন বেড়ে ২২২।