Mamata Banerjee: উত্তরপ্রদেশে পুলিশ হেফাজতে গ্যাংস্টার 'খুন', যোগী প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
Atiq Ahmed Encounter:উত্তরপ্রদেশে পুলিশ হেফাজতে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ 'খুন' নিয়ে যোগী প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'এই নির্লজ্জ নৈরাজ্য দেখে আমি স্তম্ভিত। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
কলকাতা: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) পুলিশি হেফাজতে গ্যাংস্টার (Gangster Encounter) আতিক আহমেদ 'খুন' নিয়ে যোগী প্রশাসনকে (Yogi Administration) তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। 'এই নির্লজ্জ নৈরাজ্য দেখে আমি স্তম্ভিত। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। দুষ্কৃতীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এটা লজ্জার। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের কোনও স্থান নেই', ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর।
ট্যুইট কুণাল ঘোষের...
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও এদিন বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেন। যোগী-রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি করেন তিনি। লেখেন, 'পুলিশি হেফাজতে আবার ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড। গোটা রাজ্যের সব জেলায় ১৪৪ ধারা। উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি? বিজেপি কী বলে?’
প্রতিক্রিয়া বিজেপির...
তৃণমূলের এই সমালোচনার জবাবে পাল্টা মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারাও। শমীক ভট্টাচার্য যেমন প্রশ্ন তোলেন, 'বাংলার কী অবস্থা? ভোট পরবর্তী হিংসায় ছাপান্ন জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। তৃণমূল আসলে আতঙ্কিত, যদি এ রাজ্যে তিনশো ছাপান্ন ধারা জারি হয়, তাহলে কারও সমর্থন পাবে না।'
কী ঘটেছিল?
ছেলে আসাদের এনকাউন্টারের পর এবার গ্যাংস্টার আতিক আহমেদেরও 'মৃত্যু'। প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে আনার সময় আতিক আহমেদের উপর হামলা চলে। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনই আতিককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। গুলি চলে আতিকের ভাই আশরফকেও। প্রাথমিক ভাবে খবর, মৃত্যু নিশ্চিত করতে আতিক ও আশরফের উপর গুলিবৃষ্টি করে আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় গ্যাংস্টার তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফের। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের, দাবি পুলিশের। খুনের পরই আত্মসমর্পণ করে ৩ দুষ্কৃতী। আতিক ও আশরফ খুনের পর প্রয়াগরাজ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইতিমধ্যে ১৭ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে যোগী-প্রশাসন। প্রয়াগরাজ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল আতিকের ছেলে আসাদেরও এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ। রাজু খুনের সাক্ষী উমেশ পাল খুনেও নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ছেলে আসাদের। উমেশ খুনে অভিযুক্ত আসাদের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। সমাজবাদী পার্টির ৫ বারের বিধায়ক ছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। ফুলপুর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদও হন তিনি।