College Admission: ৪৬০ টি কলেজে থমকে রয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া, আশঙ্কায় কলেজ কর্তৃপক্ষও
Kolkata News: উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের প্রায় সাড়ে ৩ মাস পরও শুরু হয়নি ভর্তি। রাজ্যের প্রায় সাড়ে চারশো কলেজে থমকে রয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া।

কলকাতা: রাজ্যের ১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৪৬০ টি কলেজে থমকে রয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। আর এই নিয়ে পড়ুয়াদের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়ছে কলেজ কর্তৃপক্ষেরও। অধ্যক্ষদের অনেকেরই বক্তব্য, এই জটের গেরোয় পড়ে রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন বহু মেধাবী পড়ুয়া। বিকল্প পথ খোঁজা হোক, এমনটাও চাইছেন অনেক অধ্যাপক।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের প্রায় সাড়ে ৩ মাস পরও শুরু হয়নি ভর্তি। রাজ্যের প্রায় সাড়ে চারশো কলেজে থমকে রয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। অন্য়ান্য় বছর এই সময় কলেজ গমগম করে, কিন্তু এবার সেই দৃশ্য় উধাও। শুরু করা যায়নি পঠনপাঠনও! উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের ৪০ দিন পর, ভর্তির অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু ভর্তি আজও শুরু হয়নি। আর এই নিয়ে পড়ুয়াদের পাশাপাশি, উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে কলেজ কর্তৃপক্ষেরও। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার বলছেন, "আমরা খুব পিছিয়ে পড়ছি। কিছু মাইনরিটি কলেজ আছে স্কটিশ চার্চ, শ্রী শিক্ষায়তন, সেন্ট পলস। তারা অলরেডি ক্লাস শুরু করে দিয়েছে। বাইরে চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।''
প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গেছে। ভর্তির জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে কিন্তু এখনও মেরিট লিস্ট পর্যন্ত বেরোয়নি। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায়, আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকছে পড়ুয়াদের। যেমন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্র শ্রীজিত সাঁধুখা। ৭ মে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি শ্রীজিত। আশুতোষ, সুরেন্দ্রনাথ সহ একাধিক কলেজ আবেদন করেছেন, কিন্তু তারপর আর কিছু নেই। অন্যান্য বছর এই সময় নবীনবরণও হয়ে যায় কোনও কোনও কলেজ। কিন্তু এবছর নবীনরা কোথায়? তাঁদের ভবিষ্যৎ তো দোলাচলে। এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি বলেন, "রাজ্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে, কিন্তু মামলা করে জট পাকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরাই গোলকধাঁধায় পড়ে যাচ্ছি কোনটা কী মামলা।''
ছাত্র-ছাত্রীদের যে অনিশ্চয়তা, যে দুশ্চিন্তার মধ্য়ে দিন কাটাতে হচ্ছে, তার দায় কার? এই প্রশ্নেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিভিন্ন সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে, কলেজে ভর্তি কিংবা রাজ্য় জয়েন্টের ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার নেপথ্য়ে রয়েছে OBC সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতা। আর বিরোধীদের দাবি, এই জটিলতা তৈরি হওয়ার মূল কারণ হল, OBC-সহ অনগ্রসর গোষ্ঠীর সংরক্ষণের আওতায়, ঘুরপথে মুসলিম সম্প্রদায়কে ঢোকাতে চাইছে তৃণমূল সরকার। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "জাতীয় OBC তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্য়াঙ্কের জন্য় OBC-র তালিকা ঢোকাতে চায় এবং ভর্তিতে যে OBC রিজার্ভেশন আছে, সেই রিজার্ভেশন থেকে যাতে এই ৭৬টি অবৈধ মুসলিম জনগোষ্ঠী বঞ্চিত না হয়, তার জন্য় তোষণবাজ সরকার, মুসলিম লিগ ২ সরকার, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্য়ৎকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন।''






















