West Bengal DA: মে নয়, এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে DA রাজ্য সরকারি কর্মীদের
West Bengal DA Hike: এপ্রিল থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% বর্ধিত হারে ডিএ।
কলকাতা: এপ্রিল থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা। মে নয়, এপ্রিল থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এবারে ৪ শতাংশ হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মী, পেনশনভোগী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই ১ মে থেকে বর্ধিত হারে DA পাবেন বলে ঘোষণা হয়। মঙ্গলবার মে মাসের পরিবর্তে এপ্রিল থেকেই সেই বর্ধিত হারে DA প্রদানের সিদ্ধান্ত হল। (West Bengal DA)
বুধবার রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের তরফে বর্ধিত হারে এপ্রিল মাস থেকে DA দেওয়ার ঘোষণা হয়। জুলাই মাসের বেতনের সঙ্গেই ঢুকতে পারে এই বর্ধিত হারের DA. লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেই যদিও এর ঘোষণা করেছিলেন মমতা। ১ মে-র পরিবর্তে ১ এপ্রিলের হিসেবে বর্ধিত হারে DA দেওয়ার কথা বলেন তিনি। সেই মতোই অর্থ দফতর থেকে ঘোষণা হল। (West Bengal DA Hike)
গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রথম ৪ শতাংশ হারে DA বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মমতা। এর পর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বাজেটে আরও ৪ শতাংশ হারে DA বাড়ানো হয়। এর ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত DA-র হার বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়। এতে রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত DA-র ফারাক ৩২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Supti Pandey: মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী, নবান্নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
এই মুহবর্তে কেন্দ্রীয় সলরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে DA পান। সমহারে DA চেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সেই টানাপোড়েনের প্রভাব এসে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। বিরোধীদের তরফেও রাজ্যের উপর চাপ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে DA বাধ্যতামূলক হলেও, রাজ্য সরকার সমহারে DA দিতে বাধ্য নয়। রাজ্য সরকার যেমন DA এবং পেনশন, দুই-ই দেয়, তাই এক্ষেত্রে চাপ দেওয়া যায় না বলে জানায় রাজ্য।
DA নিয়ে এই টানাপোড়েনে আরও যে তত্ত্বটি উঠে আসে, তা হল, দেশের জনসংখ্যা যদি ১৩০ কোটি ধরা হয়, সেই নিরিখে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষই সরকারি চাকরি করেন। কারণ ২০২১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, কেন্দ্র-রাজ্য মিলিয়ে সরকারি কর্মীর সংখ্যা ৫ কোটি। তাহলে বাকি ৯৬ শতাংশের অধিকারের কথা কে বলবেন? একই সঙ্গে পেনশন কমিশনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। ২০০৪ সালে পুরনো পেনশন প্রকল্প তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন পেনশন প্রকল্প চালু হয়। একাধিক রাজ্যেও সেই ব্যবস্থা চালু হয়। পুরনো পেনশন প্রকল্প অনুযায়ী, ২০ বছর চাকরি করে অবসর নিলে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যেত। নতুন পেনশন প্রকল্পে মূল বেতনের ১৪ শতাংশ কেটে নিয়ে পেনশন তহবিলে জমা করা হয়। তাতে আরও ১০ শতাংশ দেয় সরকার। সেই টাকা শেয়ার বাজারে ঢেলে যা লাভ হয়, সেই টাকায় পেনশন দেওয়া হয়, যা মূল বেতনের ৫০ শতাংশও হতে পারে, আবার ৫ শতাংশও। অর্থাৎ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের পেনশন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, সরকারের দায় থাকে না।
বাংলায় এই নতুন পেনশন প্রকল্প চালু হয়নি আজও। বামেরাও করে যায়নি, মমতাও নতুন পেনশন প্রকল্প চালু করেননি। পুরনো পেনশন প্রকল্পই চলছে বাংলায়। আর তাতেই রাজ্য সরকার অনড় অবস্থান নিচ্ছে। পেনশন এবং DA, দুই দিতে গেলে খরচে কুলোবে না বলে জানায় রাজ্য। যদিও আন্দোলনকারীরা সেই যুক্তি মানতে নারাজ।