(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kalighater Kaku: কাকু পর্যন্ত যখন পৌঁছেছে, আসল জায়গায় পৌঁছতে সময় লাগবে না, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোপ রাহুলের
West Bengal: এবিপি আন্দের মুখোমুখি হয়ে কী বলছেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু?
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ নস্যাৎ করে দিলেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয় ভদ্র (Sujoy Bhadra)। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুজয় বলেছেন, 'ED-ও ডেকেছিল, স্ত্রী অসুস্থ থাকায় যেতে পারিনি। ভাইঝি এমএ, বিএড, টেট পাস করেও চাকরি পায়নি। আমার হাতে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে ভাইঝিকে তো চাকরি দিতাম। আমার সাহেবকে ছুঁতে না পেরে আমি পর্যন্ত এসে থেমে যাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে অভিষেকের অফিসে চাকরি করি। আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। এবিপি আনন্দকে রাহুল বলেছেন, 'সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে ওপরে উঠতে হয়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যে নামগুলো আসছে, কুন্তল ঘোষ, তাপস, সব তৃণমূল নেতা। নিয়োগ দুর্নীতির দালাল সবাই। আসল হ্যান্ডলার কে, সেটাও জানা যাবে। কাকু পর্যন্ত যখন পৌঁছেছে, আসল জায়গায় পৌঁছতে সময় লাগবে না।'
'কালীঘাটের কাকু'র নাম উঠে এল তাপস মণ্ডলের মুখে
'কালীঘাটের কাকু', তিনি আবার কে? তাঁর নাম কী? তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সম্পর্কই বা কী? কে সেই প্রভাবশালী 'কালীঘাটের কাকু' ? সেই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে উথালপাথালের মধ্য়েই, দু'সপ্তাহের মাথায় নিজের মতো করে রহস্যভেদ করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস। সামনে আনলেন কালীঘাটের রহস্যময় 'কাকু'র নাম।
'কালীঘাটের কাকু'র প্রসঙ্গ উঠতে, মঙ্গলবার তাপসকে বলতে শোনা গেল, "কী নাম যেন, সুজয় ভদ্র না কি নামটা শুনেছি, ব্য়াস। মঙ্গলবার, মেডিক্যাল টেস্টের জন্য তাপসকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা তাপসের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন যে, কালীঘাটের কাকু কে! জবাবে তাপস বলেন, "সেটা কুন্তল বলবে।" তাহলে কি তিনি নাম জানেন না? জবাবে তাপস বলেন, "কালীঘাট নামটা জানি। নাম বলছি।" কী নাম জানতে চাইলে বলে ওঠেন, "কী নাম যেন, সুজয় ভদ্র না কি নামটা শুনেছি, ব্য়াস।" কে এই সুজয় ভদ্র জানতে চাইলে তাপস বলেন, "আমি চিনি না, আমি চিনি না। কাকু কাকি করেছে। আমি একবারই বলেছি, কাকুকে দিয়েছে।"
এই 'কালীঘাটের কাকু'র প্রসঙ্গ প্রথমবার শোনা যায়, গোপাল দলপতির মুখে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠাতে হবে। বার বার বলতেন কুন্তল ঘোষ।"