West Bengal Dhuliyan News : ফের অগ্নিগর্ভ ধুলিয়ান ! চলল গুলি, আহত ২
আশঙ্কাজনক অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে২ জনকে । আহতদের অস্ত্রোপচার চলছে।

রাজীব চৌধুরী, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদ: নতুন করে উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান পুরসভা। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ফের গুলি চলে। ওয়াকফ-অশান্তির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন ২ জন। গুলিবিদ্ধ এক যুবক ও এক কিশোর। ২ জনকেইই আশঙ্কাজনক অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের অস্ত্রোপচার চলছে। গতকালের সুতির ঘটনা ধরলে মুর্শিদাবাদে ২৪ ঘণ্টায় ওয়াকফ-অশান্তিতে গুলিবিদ্ধ হলেন ৩ জন।
শুক্রবার সুতির সাজুর মোড়ে গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় এক কিশোর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। এদিন ধুলিয়ানে পুলিশের গাড়ি থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স, পুলিশ কিয়স্কেও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকাজুড়ে। শুক্রবার নতুন ওয়াকফ আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে, শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। তারপর তা ভয়াবহ চেহারা নেয়।
এদিকে সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান পুর এলাকা। অভিযোগ, হেনস্থা করা হয়েছে ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামকেও। আজ সকালে সামশেরগঞ্জ থানার পাশে বিধায়কের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে তাঁকেও নিগ্রহ করা হয় বলে দাবি বিধায়কের। নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য কোনও রকমে এলাকা ছাড়েন বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিক আজ সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে ধুলিয়ান। একাধিক দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও বিএসএফ।
ওয়াকফ বিক্ষোভ, অশান্তি, রাজনীতি
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। যেভাবে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ছড়ানো হচ্ছে, অবিলম্বে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। চাকরি দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে এই কাজ করাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি সুকান্ত মজুমদারের। অন্যদিকে বিজেপির দিকেই নিশানা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। তাঁর দাবি, 'বিজেপির উস্কানিতেই কিছু মীরজাফর এই ঘটনা ঘটাচ্ছে'। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'কোনও আন্দোলনেই হিংসা-হানাহানি সমর্থন করা যায় না। যারা হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত' ।
পুলিশ কী জানাল
এদিকে, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সুতি ও সামশেরগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।






















