Sarada Scam: সারদাকাণ্ড থেকে রাজীব কুমারের বাড়িতে CBI অভিযান, ফিরে দেখা এজেন্সি-পুলিশ সংঘাত
Police-Central Agency Clash: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসেই কার্যত সরাসরি সংঘাতে জড়াল পুলিশ এবং ইডি। ভরা এজলাসে দাঁড়িয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল তারা।
কলকাতা: সারদাকাণ্ডের (Sarada Scam) তদন্ত হোক, বা কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অভিযান। বারবার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির সংঘাতের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য়বাসী। এবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেও কার্যত তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।
এজেন্সি-পুলিশ সংঘাত-অতীত: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এজলাসেই কার্যত সরাসরি সংঘাতে জড়াল পুলিশ এবং ইডি। ভরা এজলাসে দাঁড়িয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল তারা। তবে এরাজ্য়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং পুলিশের দ্বন্দ্ব যে প্রথমবার সামনে এল, এমন নয়। এর চরমতম নজির দেখা গেছিল ২০১৯-এর ৩ ফেব্রুয়ারি। যেদিন লাউডন স্ট্রিটে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ রাজীব কুমারের বাসভবন অবধি পৌঁছে গেছিল সিবিআই। (CBI) রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআইয়ের টিম ঢোকার আগেই তাদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। লালবাজারের বিরাট বাহিনী সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রায় টেনে, হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে, সিবিআইয়ের টিমকে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়।কিছুক্ষণ পরই আবার সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তার আবাসনের কাছে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ। পুলিশ এবং সিবিআইয়ের মধ্য়ে এই টানাপোড়েন এবং তারপর রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ধরনা ঘিরে পরবর্তী দুদিন ধরে আন্দোলিত হয়েছিল গোটা দেশের রাজনীতি।
এই ঘটনার পাঁচ বছর আগে সারদাকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীনও, এরকম সংঘাতে জড়িয়েছিল পুলিশ এবং ইডি। ২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিলসারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর স্ত্রী পিয়ালির একটি জয়েন্ট লকারের খোঁজ পায় ইডি৷ দুদিন পরই ২১ এপ্রিল সেই লকার খোলার জন্য় আদালতের অনুমতি চায় পুলিশ।২২ এপ্রিল দুপুরে লকার খোলার খোলার অনুমতি পায় পুলিশ৷ ওই দিন ইডি সল্টলেকের ব্য়াঙ্কে গেলেও ম্য়ানেজার লকার খোলার অনুমতি দেননি। এরপর সন্ধেতেই ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় পুলিশ৷ রাতে ব্যাঙ্ক কর্তা ও পিয়ালীর আইনজীবীর সামনে তারা লকার খোলে৷ এরপরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, এক বছর ধরে বিধাননগর পুলিশ সারদা-তদন্ত করলেও তখন লকারের দখল নেওয়া হয়নি কেন? ইডি তল্লাশি চালাতে চাইতেই কি তড়িঘড়ি তারা লকারের দখল নেয়?বিষয়টি নিয়ে জল গড়ায় আদালত অবধি। তারপর ইডিকে লকার খুলতে অনুমতি দেয় বিধাননগর আদালত৷ এখন পুলিশ এবং ইডি-র সরাসরি সংঘাত দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, সারদাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তিই কি হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়?
আরও পড়ুন: Malda: প্রতিশ্রুতি পরেও মেলেনি চাকরি! প্রশাসনের দ্বারস্থ মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার