(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
CBI Slapped : 'গ্রাউন্ড লেভেলে তদন্ত করুন' নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে CBI
Recruitment Scam : অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক কারা ? এক বছরেও তাঁদের খোঁজ পেলেন না !
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল CBI। তবে তাদের তদন্তকারী অফিসারের প্রশংসাও করলেন, বিশেষ CBI আদালতের বিচারক। অভিযুক্ত সরকারি অফিসারদের নাম প্রকাশ্যে বলা যাবে না, কেস ডায়েরিতে উল্লেখ আছে। ED-র পর এবার আদালতে একই সুরে বলল CBI-ও।
আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল CBI
তদন্ত যাই হোক না কেন, স্বচ্ছ হওয়া উচিত। গ্রাউন্ড লেভেলে তদন্ত করুন। অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক কারা ? এক বছরেও তাঁদের খোঁজ পেলেন না ! পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর আরও জীবনকৃষ্ণ সাহাকেও গ্রেফতার করেছে তারা। আরও এক বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্তের ভার এসেছে কাঁধে। কিন্তু এতকিছুর পরও, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল CBI।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও ধৃত কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। তবে কুন্তল ঘোষের ক্ষেত্রে তা না দেওয়ায়, তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করে CBI. এই প্রসঙ্গে এদিন CBI-এর তদন্তকারী অফিসারকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কার্যত ভর্ৎসনা করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের বিষয়টি আপনি আমাকে জানাননি কেন ? CBI-এর আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন - গ্রাউন্ড লেভেলে তদন্ত না করলে, ওঁদের কত দিন হেফাজতে রাখতে পারবেন? প্রাক্তন মন্ত্রী ও একাধিক বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে CBI। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে, নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অস্থায়ী কর্মী অর্ণব বসুরও।
এদিন CBI-এর আইনজীবীর কাছে বিচারক জানতে চান, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর কোন সরকারি আধিকারিক জড়িত আছেন? বারবার জানতে চাইছি, বলছেন না কেন? কী চলছে এসব? এক বছর হয়ে গেছে, এখনও কাউকে খুঁজে পেলেন না ? উত্তরে CBI-এর তরফে দাবি করা হয় (আইনজীবী), তদন্ত চলছে। এদিন CBI-এর বিরুদ্ধে আদালতে সরব হন কুন্তল ঘোষের আইনজীবীও। তাঁর অভিযোগ, এদিনও লক আপে দু-একজন ব্যক্তি তাঁর মক্কেলকে হুমকি দিয়েছে। তাতে আতঙ্কে রয়েছেন কুন্তল।
বার বার বলা হচ্ছে অজানা আধিকারিকের সঙ্গে যোগসাজসে আমার মক্কেল ষড়যন্ত্র করেছেন, কিন্তু এতদিনেও সেই অজানা আধিকারিকদের নাম জানা গেল না। অন্যদিকে বিচারক CBI-এর উদ্দেশে বলেন, ওই সমস্ত অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের সামনে না নিয়ে এলে, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবেন কীভাবে? কারা ওই সরকারি আধিকারিক? নাম না বললে, ষড়যন্ত্রের কথা কীভাবে বলবেন? তবে CBI-এর তদন্তকারী অফিসার ওয়াসিম আক্রমের প্রশংসা করেও বিচারক বলেন, আপনার কাজ নিঃসন্দেহে ভাল, কিন্তু নাম সামনে নিয়ে আসুন।
তার উত্তর দিতে গিয়ে, এবার ED-র পর CBI-এর আইনজীবীও আদালতে বলেন, তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ্যে বলছি না। কেস ডায়েরি দেখে নিন, দয়া করে প্রথম পাতা দেখবেন। এরপর প্রায় ৫ মিনিট ধরে কেস ডায়েরি দেখেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে শান্তি প্রসাদ সিন্হা এবং আব্দুল খালেককে চৌঠা মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।